ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করেন না প্রতিবন্ধী কিসমত আলী

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা | 2023-08-26 04:39:02

কিসমত আলী (৫৭) জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। হাঁটতে পারেন না। এক হাতে শক্তিও কম পান। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। কিসমত আলী নিজে উপার্জন করে সংসার চালান। ভিক্ষাবৃত্তি তার পছন্দ না।

কিসমত আলী মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চাকদা চিলগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের মৃত খোদাবক্স মোল্লার ছেলে তিনি। বর্তমানে জেলার ঠাকুরবাড়ি গ্রামের সুরুজের বাড়িতে থাকেন।

তার সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে একটি রাইস মিলে শ্রমিকের কাজ করেন।

মূলত কিসমত আলী হুইল চেয়ারে বসে মাগুরা শহর অথবা গ্রামের বাজারগুলো ঘুরে ভ্যান অথবা বাইসাইকেলের পরিত্যক্ত টায়ার ও পুরাতন বোতল ক্রয় করেন। সেগুলো জেলা শহরের বড় পাইকারি দোকানে বিক্রি করেন। প্রতি জোড়া টায়ার ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা দরে ক্রয় করেন। আর তা বিক্রি করেন ৯ টাকা থেকে ১০ টাকা করে। এই কাজ করে প্রতিদিন ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন তিনি।

কিসমত আলীর মতে, কারো কাছ থেকে ভিক্ষা নেয়া মানে নিজেকে তার কাছে বিলিয়ে দেয়া। তাই ভিক্ষা করতে রাজি নন ‍তিনি।

কিসমত আলী জানান, ৪ বছর আগে শ্রীপুরের চাকদা চিলগাড়ি এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকতেন তিনি। ওই সময় প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পাননি।

তিনি আরও জানান, ভিক্ষাবৃত্তি করে বেঁচে থাকতে চান না তিনি। তাইতো নিজেই কষ্ট করে উপার্জন করছেন। তবে এখন তার বয়স বাড়ছে। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড পেলে তার জন্য উপকার হয়।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম জানান, ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হবে। ঈদের পরই কাজ শুরু হবে। তখন কিসমত আলীকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর