চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একই পরিবারের ৭ জনের মধ্যে ৫ জন প্রতিবন্ধী। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামে এই পরিবারটির বসবাস।
এই পরিবারের কর্তা বৃদ্ধ সেরাজুল ইসলাম জানান, প্রায় ৬০ বছর আগে একই ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামের জসিম উদ্দীনের মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর তাদের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসে ছেলে সন্তান। তার নাম রাখা হয় মনিরুল ইসলাম। প্রথম সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। তবে সে আনন্দ বেশিদিন থাকেনি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় মনিরুল ইসলাম কানে শুনতে পায় না। একই সঙ্গে সে কথা বলতে পারে না।
বাকপ্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলামের বয়স এখন প্রায় ৫২ বছর। মনিরুল ইসলাম বিয়ে করেন রশিকনগর এলাকার নাসিমা বেগমকে। এরপর মনিরুল-নাসিমার ঘর আলো করে আসে মমিন নামে এক সন্তান। বর্তমানে মমিন প্রবাসী। এরপর রুমা নামে এক মেয়ে এবং আমিন নামে এক ছেলে জন্মগ্রহণ করে। তারা সকলেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
অপরদিকে সেরাজুল ইসলামের ২য় সন্তান টুটুল (৪৭) ও ৩য় সন্তান আশরাফুল ইসলামও (৪২) বাকপ্রতিবন্ধী।
এছাড়া সেরাজুল ইসলামের দুই মেয়ে মাবিয়া খাতুন (২৬) বাকপ্রতিবন্ধী ও রজবী খাতুন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে মাবিয়া দরজির কাজ করে বাবা সেরাজুল ইসলামকে সাহায্য করেন।
এদের মধ্যে বৃদ্ধ বাবা সেরাজুল ইসলাম বয়স্ক ভাতা, টুটুল প্রতিবন্ধী ভাতা ও দুই মেয়ে মাবিয়া এবং রজবী প্রতিবন্ধী ভাতা পান।
পরিবারের দাবি- অন্য দুই ছেলেকেও যেন প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয়।
জানা গেছে, সেরাজুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে এক ছেলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তার নাম সেলিম ইসলাম। তিনি ব্যবসা করেন। এছাড়া সেরাজুল ইসলামের ৩ মেয়ের মধ্যে আলিয়া নামে এক মেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। তার বিয়ে হয়ে গেছে।
অপরদিকে বাকপ্রতিবন্ধী টুটুল ও আশরাফুল ইসলামও বিয়ে করেছেন। তাদের ঘরেও সন্তান রয়েছে।