দুই ব্যক্তির দ্বন্দ্ব, শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি
মাছ চাষের অজুহাতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ওয়াবদার) পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে দুই ব্যক্তি। এতে করে উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়িসহ ফসলি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের ইশোরকোল এলাকার সেকান্দার আলীর বাড়ি পাশের একটি জমি কিনতে চায় এসপারুল হক। কিন্তু ওই জমি বেশি টাকায় কিনেন সেকান্দার আলী। আর এতে শুরু হয় দুজনের দ্বন্দ্ব। প্রায় ৪ বছর আগে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি নিষ্কাশন ক্যানেল তৈরি করে।
এদিকে উপায় না পেয়ে ওই এলাকার পানিবন্দি পরিবাররা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হকের কাছে অভিযোগ জানালেও তিনি বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের কথায় গত ২৬ জুলাই রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসানের হাতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। এ ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেন তারা।
লিখিত অভিযোগে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়িসহ নষ্ট হয়েছে আমন বীজতলা। এতে করে চাষিরা হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে মৎস্য ঘের। কিন্তু এই অভিযোগ দেয়ার পরেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ তদন্ত কিংবা পরিদর্শন করেননি।
ওই এলাকার কৃষক ইছাহাক আলী বলেন, সরকারী জমি দখল করে মাছ চাষ করে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ করেছে দিয়েছে। এতে করে আমরা সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যাই। উপজেলায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু প্রশাসনের লোকজন কেউ এখনো আমাদের দেখতে আসেনি।
ওই গ্রামের তাজিনা বেগম বলেন, পানির কারণে আমরা বিছানার উপড়ে রান্না করে শিশুদের খাওয়াচ্ছি। এতে করে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে কাকিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকার বৈঠক বসানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের দুজনের দ্বন্দ্বের কারণে সমাধান হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রবিউল হাসান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।