যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে প্রতিটি ট্রেন। যেখানে অন্য বছরের ঈদ যাত্রাগুলোতে এই সময়ে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়ে যাত্রী ভোগান্তি তৈরি হয়। তবে এবার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেছে স্টেশনগুলোতে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এদিন সকাল থেকে নীলসাগর, তিস্তা ও জামালপুর এক্সপ্রেস এখন পর্যন্ত স্টেশন থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে এবং রাত পর্যন্ত আরো নয়টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে।
এদিকে বিনা টিকিটের যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ না করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে রেলের কর্মকর্তারা। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলো যথাযথ মেনে প্রতিটি ট্রেন ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সার্বিক বিষয় নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'টিকিটবিহীন কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রেলের বর্তমান সিস্টেমের প্রেক্ষাপটে রেল সেবা অ্যাপ থেকে টিকিট কেটে সেটির পিডিএফ কপি প্রিন্ট করে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। এই কপি বা টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ নিষেধ'।
তিনি আরো বলেন, 'প্রতিটি ট্রেন আমরা জাস্ট টাইমে ছাড়ছি। একই সাথে যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টির দিকে নজর রেখে প্রতিটি ট্রেনকে জীবাণুনাশক করা হচ্ছে। ট্রেনে অর্ধেক আসন খালি রাখা হচ্ছে অর্থাৎ এক সিট বাদ দিয়ে যাত্রীরা বসছেন। রেলের তরফ থেকে আমরা সকল ধরনের সহযোগিতা করছি। একইসাথে যাত্রীদেরও অনুরোধ করবো তারাও যেন স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলো খেয়াল রাখেন'।
এদিকে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সারাদিনে আজকে ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এবার নামানো হয়নি কোনো বিশেষ ট্রেন।
উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটি শেষে সরকারি নির্দেশে গত ৩১ মে থেকে বিভিন্ন রুটে প্রায় ১৭টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। তবে সাধারণ ছুটির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে পার্সেল স্পেশাল, ম্যাংগো ট্রেন এবং বর্তমানে কুরবানির পশু পরিবহনের চলছে ক্যাটাল স্পেশাল ট্রেন।