স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে যথার্থ উদ্যোগ নেয়ার ফলেই দেশের কোভিড হাসপাতাল এখন ৬০ ভাগ শয্যা খালি পড়ে আছে। কোভিড ডেডিকেটেড অর্ধেক আইসিইউ বেডে কোন রোগী নেই। শুরুতে পরিস্থিতি বুঝতে কিছুটা সময় লাগলেও এখন দেশের চিকিৎসাখাত কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সঠিক অবস্থানেই রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী সংখ্যা কম থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকার দ্রুত কিছু উদ্যোগ নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম দিকে কেবলমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু ছিল। এখন জেলা শহরেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করাসহ প্রায় ৭০টি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের টেলি মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত চিকিৎসক অনলাইনে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন কিছু কার্যকরী চিকিৎসা সেবা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে, দেশে ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে।”
কোভিড পরীক্ষা সংখ্যা কমে যাচ্ছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরীক্ষা করতে মানুষের অনীহা, বন্যা দুর্যোগ ও যত্রতত্র লক্ষণবিহীন পরীক্ষা না করতেই কিছুটা কমে থাকতে পারে বলে জানান। সামনে ৩০ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে বলেও সভায় তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে সভায় ৫টি দপ্তরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। স্বাক্ষরিত দপ্তরগুলি হচ্ছে- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নিপোর্ট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী চুক্তিকৃত দপ্তর প্রধানদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইডলাইন অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।