আগামীতে ডিজিটাল হাটে ১০ হাজার পশু কোরবানির পরিকল্পনা

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 21:47:00

প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাটের মাধ্যমে গবাধি পশু কেনাবেচা এবং জবাইয়ের ব্যবস্থা করা হলো। সব প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে পশু কোরবানি করে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১ আগস্ট) ঈদুল আযহার নামাজ শেষে দুপুর ১২টায় রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ রোডের চাঁদ হাউজিং এলাকার সাদেক অ্যাগ্রোতে অবস্থিত ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট করেছি। হাট উদ্বোধনের সময় ঢাকাবাসীকে আহ্বান করেছিলাম ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে আপনার পশুটি কোরবানি করুন। এখানে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই সকল কর্মযজ্ঞ হচ্ছে।’

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ঘুরে দেখেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘দেখুন এখানে দক্ষ কসাইরা সকল প্রকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পরিধান করে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পশু কোরবানি করে মাংস প্যাকেজিং করছে। শুধু তাই না মাংসগুলো যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য ডিপ ফ্রিজিং গাড়ির মাধ্যমে গ্রাহকের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় স্থায়ী হাটসহ ১০টি হাট বসতো। এবার কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে মাত্র ৬টি হাট বসতে দিয়েছি। আমরা ঢাকাবাসীকে বলেছিলাম আপনারা ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে গরু কিনুন এবং আপনার গরুটি কোরবানি করুন।

ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম

মেয়র বলেন, আমরা ফুড গ্রেড পলিব্যাগের মাধ্যমে মাংসগুলো প্যাকিং করছি। এখানে টোটালি কম্পোজিট সিস্টেমে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২ হাজার গরু কোরবানির প্ল্যান করেছিলাম, এখনো দুই হাজার কোরবানির অর্ডার আসেনি। আমরা অনুরোধ করব নগরবাসী যত্রতত্র কোরবানি না করে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করুন। দেখুন এই শহরটাকে আমরা ভালোবাসী, এটি আমাদের প্রাণের শহর। এই শহরে আমরা যত্রতত্র কেন কোরবানী দেব? যারা বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে কোরবানি দিচ্ছেন এটি ঠিক না। আপনার নিজেরা অনতিবিলম্বে সব পরিষ্কার করুন। আমাদের সহযোগিতা করুন, আমাদের সকল পরিচ্ছন্নকর্মীরা রাস্তায় নেমেছে। আর যত্রতত্র কোরবানি নয় সবাই নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেই।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বলেন, ১৮টি ওয়ার্ড সহ ৫৪টি ওয়ার্ডে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজের তদারকি করব। এটা একটি চ্যালঞ্জিং কাজ, এই চ্যালেঞ্জ তখনই সার্থক হবে যখন জনগণ সাহায্য করবে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করার জন্য ২৫৬টি জায়গার ব্যবস্থা করেছি। কয়েকটি স্থান ঘুরে আসছি স্থানে কেউ আসে নাই। এজন্য আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিতে পারলে শহর পরিষ্কার থাকবে।

ডিএনসিসির জিজিটাল হাটের মাধ্যমে এবার ২ হাজার কোরবানির করার টার্গেট আছে জানিয়ে বলেন, আজ প্রথম দিনে ৪০০ গরু, দ্বিতীয় দিনে ১০০০ হাজার এবং শেষ দিনে ৬০০ গরু কোরবানি করা হবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ তারপরেও আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে রাস্তায় গরু কোরবানি না। এবার এটা শুরু করলাম। জনগণকে যদি আশ্বস্থ করতে পারি। ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে আগামীতে ১০ হাজার গরু কোরবানি দেবার বন্দবস্ত করব।

এসময় সঙ্গে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, সাদেক অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর