একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর আহ্বান

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-12 04:46:08

 

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (১লা সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়। 

মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত ব্যালট পেপারে সীল মেরে। যদিও মাঝে মাঝে দু'একটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হওয়ার নজির রয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থায় ঝামেলা কম ও দ্রুত সময়ে ফলাফল পাওয়া যায়। 

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এর সভায় আরপিও ৯০ ধারা সংশোধন করে ১০০ সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এর পরই রাজনীতিতে এর পক্ষে বিপক্ষে নানা মত সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের সঙ্গে সঙ্গে এক্ষেত্রেও পরিবর্তন সাধিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা মনে করি প্রযুক্তির এই বিশ্বে নাগরিকরা কেন্দ্রে গিয়ে আর ভোট দিতে চাইনা। 

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে যেহেতু সব কাজ-কর্ম করা যায়, তাই ঘরে বসে ভোট প্রদান করাও নাগরিকদের একটি নৈতিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, ইভিএম পদ্ধতি একটি সনাতন ধর্মী প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিতে সমালোচনা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই প্রযুক্তির সেরাটাই যদি ব্যবহার করা যায় তা হচ্ছে মুঠোফোনে অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করা। পদ্ধতিটা এমন যে, সকাল ১০টায় ভোটিং লাইন খুলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা। এতে ব্যয় বর্তমান ব্যয়ের ১ শতাংশ। 

অন্যদিকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে শতকরা ১০০ ভাগ। জনগণের মাঝে ভয়ভীতিও থাকবে না, কারচুপি হবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম মেশিন ক্রয় না করে জনগণের মাঝে বিনামূল্যে বা ন্যায্য মূল্যে স্মার্টফোন বিতরণ করা যেতে পারে। ফলাফল নির্বাচন কমিশন, জেলা ও উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইলেকট্রনিক্স মনিটরে ভোট পর্যালোচনা করে সর্বশেষ ফলাফল বিকাল ৫ টার মধ্যেই প্রদান করা যাবে।

এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলোর কথা উল্লেখ করে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের সকল নাগরিকের কাছে স্মাট ফোন না থাকা একটি বড় প্রতিবদ্ধকতা।

এক্ষেত্রে প্রতি এলাকায় একটি করে ভোট কেন্দ্র রাখতে হবে, যেখানে গিয়ে অদক্ষ ও স্মার্টফোন না থাকা নাগরিকরা ভোট প্রদান করতে পারবে। দ্বিতীয়ত হ্যাকারমুক্ত রাখার জন্য দক্ষ জনবল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। তাই আমর মনে করি অনলাইন এর মাধ্যমেই হোক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর