নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকায় মসজিদে এসি বিস্ফোরণে ঘটে যাওয়া ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি ক্যাবিনেট সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি এর কারণ খুঁজে বের করতে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সাহার খাতুন ও ইসরাফিল আলমের ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি সেখানে গেছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই ঘটনা কেন ঘটল কিভাবে ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। সেটা অবশ্যই বের হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সাথে সাথে আমাদের বার্ন ইনস্টিটিউটের ডা. সামন্ত লাল মেসেজ পাঠিয়েছে। সার্বক্ষণিক মেসেজ পাঠাচ্ছে এবং রোগীদের অবস্থা জানাচ্ছে। অনেকেই মারা গেছে, বাকি যারা বেশির ভাগের পোড়ার অবস্থা খারাপ তারপরেও চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদে বিস্ফোরণ।
তিনি বলেন, ওইটুক জায়গায় ৬টা এসি লাগানো। আবার খবর পাচ্ছি সেখানে গ্যাস লাইনের ওপরেই নাকি মসজিদটা নির্মাণ করা। সাধারণত যেখানে গ্যাসের পাইপ লাইন থাকে সেখানে নির্মাণ কাজ হয় না। জানি না রাজউক অনুমতি দিয়েছে কিনা, এখানে অনুমতি তো দিতে পারে না। দেওয়া উচিত না। এটা সব সময় একটা আশঙ্কাজনক থাকে। সেটাই তদন্ত করে দেখা হবে যে কিভাবে হলো।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ কতটা নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কি না সার্কিট বেকার ছিল কি না সব বিষয়গুলো দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলেছি বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংশ্লিষ্টদের প্রত্যেককে নির্দেশ দিয়েছি কারণ খুঁজে বের করার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে অপরিকল্পতিভাবে এসি লাগাচ্ছে বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন সেখানে আদৌ মসজিদ করবার জায়গা কিনা বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া বা সেখানে নকশা করা হয়েছে কিনা সেগুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। দুর্ঘটনা সত্যি খুবই দুঃখজনক। যারা মৃত্যুবরণ করেছে মাগফেরাত কামনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করেন।