জাতীয় প্রয়োজনে প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসহ সব ধরনের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন-রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণে প্রকৌশল গবেষণায় বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল-২০২০ পাস করেছে সংসদ।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। যদিও বিলটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই এর প্রস্তাব দেন বিরোধী দলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকোচ হয়ে যায়। পরে বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠাভোটে দিলে তা সর্বাধিক সমর্থনে পাস হয়।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রী। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই-বছাই করে ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর সংসদীয় কমিটি গত ৯ আগস্ট বিলটি চূড়ান্ত করে সংসদে পাঠায়।
পাস হওয়া এই আইনের অধীনেই বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল থাকবে। জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্র- যেমন পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সকল প্রকার অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করার দায়িত্ব এই কাউন্সিলের ওপর বর্তাবে।
কাউন্সিল পরিচালনায় একটি গভর্নিং বডির প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায়। যার চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ করবে। এছাড়া একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে, যার চেয়ারম্যান হবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।
পাস হওয়া আইনে বলা হয়েছে, কাউন্সিলের কাজের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পেশাজীবী, শিল্প উদ্যোক্তা বা শিক্ষাবিদরা হবেন এই প্যানেলের সদস্য।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল বিল আইন হিসেবে প্রবর্তন করা হলে টেকসই জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিদ্যার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া এ আইন প্রযুক্তি ও প্রকৌশল গবেষণার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদেরকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।