কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষাদানের লক্ষ্যে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২০ পাস হয়েছে সংসদে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। যদিও বিলটিতে জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুল হক, শামীম হায়দার পাটোয়ারি ও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, রুমিন ফারহানা।
নিজ নিজ অবস্থানের পক্ষে তারা যুক্তি তুলে ধরলেও শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, বিলটি যেহেতু সংসদীয় কমিটিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করেছে তাই নতুন করে জনমত যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা নেই।
আইনে বলা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যাল’ স্থাপন করা হবে।
বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে- কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রাগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে সংগতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিজ্ঞানে উন্নত শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রচলিত অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি এবং নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ দেশে কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে হবিগঞ্জ জেলায় একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটর এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতীব জরুরি।