প্রধানমন্ত্রিত্ব উপভোগের বিষয় নয়, কঠিন দায়িত্ব

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 10:37:21

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রিত্ব উপভোগের কোন বিষয় নয়, এটি একটি দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব আমার কাছে উপভোগের কোন বিষয় নয়; এটি একটি দায়িত্ব এবং অবশ্যই কঠিন দায়িত্ব। যখনই আপনারা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন, তখনই আমি আরও বেশি করে দায় বোধ করেছি।

বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি রেকর্ডের জন্য রাজনীতি করি না। আমার সংকল্প হচ্ছে আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন, কিন্তু মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করার আগেই বর্বর ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হন। আমার প্রতিজ্ঞা ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তি। এদেশের মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারেন, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের অধিকারী হতে পারেন তা বাস্তবায়ন করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

সরকার দলীয় আরেক সদস্য মাহফুজুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে এদেশের আপামর জনসাধারণ বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। এ বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে এরকম পূর্বাভাসই দেয়া হয়েছিল। আমাদের এই ল্যান্ড স্লাইড বিজয়ের বহুবিধ কারণ রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বিগত ১০ বছরে দেশের উন্নয়ন এবং সেই উন্নয়নের সুফল মানুষ পাচ্ছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। প্রতিটি সম্ভাব্য প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ বাড়িয়েছেন এবং এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি আমরা ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দোসরদের নেতিবাচক প্রচারণার বিপরীতে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ইতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছি।

অন্যদিকে বিএনপি’র পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এক আসনে ৩-৪ জন বা তারও বেশি প্রার্থী মনোয়ন দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ছিল, তারা দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। তাছাড়া নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন-সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অন্যদিকে বিএনপি’র ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা এবার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। আর সে কারণেই আমাদের এই বিশাল বিজয় অর্জন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর