'১৬২টি নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে'

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 21:20:27

নতুন করে দেশে আরও ১৬২টি খাদ্যগুদাম নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একাদশ সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, চাহিদা পত্র পেলে খুলনা জেলার রূপসা তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলার কোন এক জায়গায় খাদ্য গুদাম নির্মাণের বিষয়টি নতুন খাদ্য গুদাম প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে আজ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য অধিদফতর ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাঝে সম্পাদিত এমওইউ-এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ধারে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গাদের কারণে বাড়তি চাপে দেশে আপাতত খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে দেশে সরকারিভাবে চাল মজুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে সরকারি খাদ্য গুদামসূহের ধারণক্ষমতা ছিল ১৭ দশমিক ১৭ হাজার লাখ মেট্রিক টন। উক্ত ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ২০ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। সরকারি গুদামজাতকৃত চালের মোট মজুদ ১৩ দশমিক ৫৪ লাখ মেট্রিক টন। যা সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হয়েছে।

তিনি জানান, খাদ্যশস্যের বাজারদরে ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং দরিদ্র ও নিম্ন আয়ভূক্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে ওএমএস কর্মসূচিতে চাল ও আটা বিতরণ করা হয়। ঢাকা মহানগর ও আশেপাশের শ্রমঘন এলাকাসহ বিভাগীয়, জেলা শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত ১০ বছরে গড়ে প্রতিবছরে প্রায় ২২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল ওএমএস খাতের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। যা চালের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচিটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অন্তর্ভুক্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। এ কর্মসূচির নাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং এর স্লোগান হচ্ছে 'শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ'।

তিনি বলেন, 'গত ১০ বছরে সুপরিকল্পিতভাবে সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থার খাতসমূহে খাদ্যশস্য বরাদ্দ, বিলি-বিতরণ এবং মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।'

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মোট খাদ্য গুদামের সংখ্যা ২ হাজার ৭২২টি এবং গম সংরক্ষণের জন্য সাইলো রয়েছে ৭টি। এ সকল খাদ্য গুদামের সর্বমোট ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী দেশে মজুদ খাদ্যশস্যের পরিমাণ হচ্ছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ মেট্রিক টন এবং গম মজুদের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর