নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৭৪ পরাজিত প্রার্থী

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2023-09-01 00:22:24

জাল ভোট, এজেন্টদের বের করে দেয়া, একতরফা ভোট, কারচুপি ও ভোটডাকাতির অভিযোগ এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন বিএনপি, গণফোরাম ও প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টি (পিডিপি) এর ৭৪ জন প্রার্থী।

এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৫ বিএনপি প্রার্থী হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি আরো ২ বিএনপি প্রার্থী এবং আজ বৃহস্পতিবার বাকি পরাজিত প্রার্থীরা আবেদন করেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা-৬, মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩) এবং মোস্তফা মহসীন মন্টু (ঢাকা-৭) গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। এছাড়া রংপুর-৩ আসনে প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিভ পার্টি (পিডিপি) এর সাব্বির আহমেদ নির্বাচনে অংশ নেন।

প্রত্যেক আবেদনকারী নিজ নির্বাচনী আসনের অন্য প্রার্থীদের বিবাদি করেছেন। আবেদনে বিবাদিদের প্রতি নোটিস ও সাক্ষিদের তলবের আরজি জানানো হয়েছে। আর ওই আসনের বিজয়ী প্রার্থীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। এছাড়া প্রত্যেক সংসদীয় আসনের নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয়েছে।

আবেদনকারীরা হলেন- সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩), মেজর জেনারেল আ আ সম আমিন (কুড়িগ্রাম-২), আব্দুল মোমেন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (ঝিনাইদহ-৪), আবুল কালাম আযাদ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৭), জয়নুল আবেদীন (বরিশাল-৩), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), জহির উদ্দিন স্বপন (বরিশাল-১), শাহ রিয়াজুল হান্নান (গাজীপুর-৪), নাছের রহমান (মৌলভীবাজার-৩), আব্দুল হাই (মুন্সীগঞ্জ-৩), হাফিজ ইব্রাহিম (ভোলা-২), রুহুল আমি দুলাল (পিরোজপুর-৩), ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (ঢাকা-১৯), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ভোলা-৩), তাজভীর উল আলম (কুড়িগ্রাম-৩), মো. সাইফুল ইসলাম (রংপুর-৬), মো. সাদেক রিয়াজ (দিনাজপুর-২), মোস্তফা মহসীন মন্টু (ঢাকা-৭), নজরুল ইসলাম আযাদ (নারায়ণগঞ্জ-২), মইনুল ইসলাম খান শান্ত (মানিকগঞ্জ-২), ইরফান ইবনে আমান অমি (ঢাকা-২), নবী উল্লাহ নবী (ঢাকা-৫), আশরাফ উদ্দিন (নরসিংদী-৫), মো. আমিরুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৫), শহীদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-১), ফরহাদ হোসেন আযাদ (পঞ্চগড়-২), মো. হাসান রাজিব প্রধান (লালমনিরহাট-১), মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া (দিনাজপুর-৪), মো. শাহজাহান মিয়া (চাপাইনবাবগঞ্জ-১), মিজানুর রহমান (সুনামগঞ্জ-৫), মো. জি কে গউছ (হবিগঞ্জ-৩), মজিবুর রহমান চৌধুরী (মৌলভীবাজার-৪), ফারুক আলম সরকার (গাইবান্ধা-৫), শফী আহমেদ চৌধুরী (সিলেট-৩), মো. আনোয়ারুল হক (নেত্রকোনা-২), শাহ মো. ওয়ারেস আলী (জামালপুর-৫), নিতায় রায় চৌধুরী (মাগুরা-২), অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (যশোর-৩), মো. আবু সুফিয়ান (চট্টগ্রাম-৮), মাসুদ অরুন (মেহেরপুর-১), আমিন উর রশীদ (কুমিল্লা-৬), এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), শহীদুল ইসলাম ভুইয়া (খাগড়াছড়ি), সাব্বির আহমেদ (রংপুর-৩) পিডিপি, মুন্সী রফিকুল আলম (ফেনী-১) জয়নুল আবদীন ফারুক (নোয়াখালী-২), সাচিং প্রু (বান্দরবান), শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (চাঁদপুর-৩), আবুল খায়ের ভুইয়া (লক্ষ্মীপুর-২), জাকির হোসেন সরকার (কুষ্টিয়া-৩), রকিবুল ইসলাম (খুলনা-৩), শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম (ফরিদপুর-২), আনিছুর রহমান (মাদারীপুর-৩), আাজিজুল বারী হেলাল (খুলনা-৪), শাহ মো. আবু জাফর (ফরিদপুর-১), মো. শরীফুজ্জামান (চুয়াডাঙ্গা-১), হাবিবুল ইসলাম হাবিব (সাতক্ষীরা-১), আলী নেওয়াজ মো. খৈয়ম (রাজবাড়ী-১)। আকবর হোসেন ফেনী-৩, রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), বরকত উল্লাহ বুলু (নোয়াখালী-৩), তাসভীরুল ইসলাম ( কুড়িগ্রাম-৩), আসমা আমিন (কুড়িগ্রাম-২)।

আবেদনকারী আইনজীবীদের মধ্যে আছেন- ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন, ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার রাজিব প্রধান এবং ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

নির্বাচনী আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি রেজউল হাসান, বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন নিয়ে পৃথক পৃথক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের নাম ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হয়। তবে এ সময় সীমার পরেও বিলম্ব মার্জনার আবেদন করে করা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গত ২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর