সংসদে বাদল, ‘আমি প্লেনে ছিলাম না’

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 14:00:59

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের প্লেন ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় ওই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাসদের (একাংশ) কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল বলেছেন, পত্র-পত্রিকায় দেখলাম গতকাল ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় আমি প্লেনে ছিলাম বলা হয়েছে। কিন্তু তখন ওই প্লেনে আমি ছিলাম না। আমি প্রথমেই ভুলটা ভাঙ্গিয়ে দিতে চাই। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর একটা অনুষ্ঠান ছিল আমি সেই অনুষ্ঠানের পরে ওখানে (চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে) এসেছি ঢাকায় আসার জন্য। আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার সাথে সাথে দেখি লোকজন ছুটাছুটি করছে। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে বললেন একটা প্লেন হাইজ্যাক হয়েছে। তারপর বলল হাইজ্যাকার আছে, বলতে বলতে প্লেনটা ল্যান্ড করে।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলেন বাদল। এরআগে বিষয়টি নিয়ে সংসদে ৩০০ বিধিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিবৃতি দেন।

তিনি বলেন, এটা কাকতালীয় হবে। এই প্লেনটাতেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। এই যখন হচ্ছে, তখন আমার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংও ছিলেন। আমি বীরকে বললাম আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একজন সংসদ সদস্য হিসেব বিষয়টি জানা। সেজন্য আমি বিমানবন্দরের টার্কমার্কে (যেখানে প্লেন নামে) চলে গেলাম। যাই হোক আমি তারপর থেকে শেষ পর্যন্ত ওখানে উপস্থিত ছিলাম। নানান কাহিনী বিস্তার লাভ করেছে। মোদ্দা কথা হলো একজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি প্লেনের পেছন থেকে এসে অশ্রব্য ভাষায় গালাগালি করছিল। পাইলটকে বলেছিল তুমি দরজা খুলে দাও, পাইলট খুলে নাই। কতগুলো পত্রিকায় দেখলাম পাইলটের সঙ্গে মল্যযুদ্ধ হয়েছে। কেউ কেউ বলছে তখন সে একটা গুলি করেছে। পাইলট কখনো দরজা খোলেনি। পাইলট তাকে ব্যস্ত রাখতে আলোচনা করার চেষ্টা করেছে।  তখন পাইলটকে ওই ব্যক্তি বলেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। পাইলট তাকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কথা বলবেন কিন্তু একটু সময় লাগবে। অ্যাটিউচুড ছিল ব্যস্ত রাখা যাতে কোনো যাত্রীর ক্ষতি না করে।

ক্যাপ্টেন শফিক অত্যন্ত দুরদর্শিতার সাথে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় সাহসিকতার সাথে প্লেনটাকে চট্টগ্রামে ল্যান্ড করে। ফ্লাইটের ক্রু তিনটা মেয়ে, দুইটা ছেলে, নিন্মি, হোসনেয়ারা, রুমা, সাগর, শাফুর। তারাই যাত্রীদের আশ্বস্ত করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। তারা বিজনেস ক্লাস আর ইকোনোমিক ক্লাসের পর্দা টেনে দিয়েছে। পর্দা টেনেই এই মেয়েরা সাহসিকতার সাথে দুইটা দরজা খুলে দেয় তখন যাত্রীরা দ্রুতার সাথে বের হতে শুরু করে।

প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, রিয়েল হিরোদের স্বীকৃতি পায় না।  চট্টগামে ক্যাপ্টেন গোলাম শফি এবং তার ফার্স্ট অফিসার মুনতাসির মাহবুব এবং ৫ জন ক্রুকে যথাযথভাবে পুরস্কৃত করা উচিত।

এ সম্পর্কিত আরও খবর