ইপিজেড শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার বিধান রেখে সংসদে বিল পাস

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 03:45:43

আলাদা ইপিজেড শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা ও ইপিজেড শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের বিধান করে ইপিজেড শ্রমিকদের জন্য ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিল-২০১৯’ পাশ হয়েছে।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। যদিও বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই এর প্রস্তাব দেন বিরোধীদলের একাধিক সদস্য। পরে আলোচনা শেষে তাদের সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। এই বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

মূলত, এই বিল পাসের মধ্য দিয়ে সংসদ অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত 'বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯' কে আইনে পরিণত করা হলো। সংসদ অধিবেশনের আগে কোন অধ্যাদেশ জারি হলে তা পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদে উপস্থাপন করতে হয়। একইভাবে ওই অধ্যাদেশকে উপস্থাপনের ৩০ দিনের মধ্যে বিল আকারে উত্থাপন করে পাস করার বিধান রয়েছে। গত ৩০জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদে উপস্থাপিত অধ্যাদেশটিকে আইনে রূপ দিয়ে গত ১১ফেব্রুয়ারি উক্ত বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। সংসদীয় কমিটি বিলটি যাচাই বাছাই শেষে সংসদের রিপোর্ট দেয়ার পর গতকাল রাতে বিলটি সংসদে পাস হলো।

বিলটি সংসদে উত্থাপনের দিন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, 'শ্রম আইন ২০০৬' সহ এই ধরনের আরও কয়েকটি আইন বিদ্যমান থাকায় আলাদা এই আইনের কোন প্রয়োজনই নেই। গতকালও বিলটির ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানোর জন্য মুজিবুল হক চুন্নু ও ফখরুল ইসলামসহ কয়েকজন সদস্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে তাদের আনীত কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাবও নাকচ হয়।'

এই বিলটি আইনে পরিণত হলে শ্রম আদালতের বাইরে ইপিজেড শ্রমিকদের বিষয়টি এই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে এবং আলাদা ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া ইপিজেড শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়নের আদলে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির ফেডারেশনের বিধান রয়েছে। বিলের ১৩৩ থেকে ১৩৬ ধারায় ইপিজেড শ্রম আদালত ও ইপিজেড শ্রম আপিল টাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলের ৯৪ ধারায় শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে- ইপিজেডস্থ বা জোনস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরি হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকদের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন রহিত করে তা পুনঃপ্রণয়নের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর