বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থল স্বরূপে ফেরত চাই

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-20 08:03:40

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণস্থল স্বরূপে ফেরত চাইলেন সংরক্ষিত আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা।

তিনি বলেছেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ২১ বছর সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে বিকৃত করা হয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম ভুল ইতিহাস, ভুল তথ্য, ভুল সংস্কৃতি শিখে বেড়ে উঠেছে। এই সময়ে বিখ্যাত পল্টন ময়দান হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণস্থল বিলুপ্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার অনুরোধ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণস্থল আমরা স্বরূপে ফেরত চাই।'

রোববার (০৩ মার্চ) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এই অনুরোধ জানান।

সুবর্ণা মোস্তফা বলেন, 'আমাদের সংস্কৃতি শুধু নাচ-গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এই সংস্কৃতি ইতিহাস, ভাষা সাহিত্য ঐতিহ্য আচার আচারণকে শিক্ষা দেয়। দু:খজনক হলেও সত্য আমাদের সেই সংস্কৃতি যতটা না বাইরে থেকে বিপন্ন হয়েছে তার চেয়ে বেশি বিপন্ন হয়েছে দেশের ভেতর থেকে এবং বিপদগ্রস্ত করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর সুপরিকল্পিতভাবে সংস্কৃতিকে বিকৃতি করা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম ভুল ইতিহাস, ভুল তথ্য ভুল সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে। এই সময় বিখ্যাত পল্টন ময়দান হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ৭ মার্চের ভাষণস্থল বিলুপ্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত ভাষণস্থল আমরা স্বরূপে ফেরত চাই। বৃক্ষ নিধন আমাদের উদ্দেশ্যে নয়, কিন্তু সেই সভাস্থল পূর্বরূপে ফেরত পেতে কিছু গাছ তো আমাদের কাটতেই হবে। কিন্তু প্রতি একটি গাছের জন্য ১০০টি করে চারা রোপণ করতে পারি। সেই মঞ্চটি নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হোক। বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত ভাষণ প্রতিদিন যখন ঘড়ির কাটা ২ টা ৪৫ পৌঁছাবে তখন ১৮ মিনিটের সেই কালজয়ী ভাষণ ধ্বনিত হবে ঐ কালজয়ী চত্বরে। শিশু কিশোর থেকে শুরু করে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ইতিহাসে ফিরে যাব।'

তিনি বলেন, 'আমাদের চলচ্চিত্র এখন দু-সময়ের মধ্য দিয়ে চলছে। দেশীয় চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরে আনতে অতি সত্তর প্রতিটি জেলার সিনেমা হলগুলোকে সংস্কার এবং আরও বেশি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি এই দুর্দিনে চলচ্চিত্রকে আপাতত কর মুক্ত করা হোক। বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে হলগুলোকে ইউটিলিটি মুক্ত করা হোক। প্রয়োজন মাফিক আরও কিছু প্রণোদনা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে যেসকল জায়গায় বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলোতে কর বাড়িয়ে দেওয়া হোক।'

তিনি আরও বলেন, 'এত টেলিভিশন চ্যানেল আমাদের কিন্তু ডিজিটাল বিতরণের অভাবে দেশীয় চ্যানেল দর্শক হারাচ্ছে। লাগামহীন বিজ্ঞাপন ও অব্যবস্থাপনার অবসান দরকার। একই সাথে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল যেন নির্দিষ্ট সময়ে এবং সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট দিনই প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন তাদের রোল মডেল হতে পারে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর