কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এরূপ কার্যক্রমের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির বিষয়টিও সতর্কতার সঙ্গে মনিটর করা হচ্ছে।
সোমবার (৪ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আহসান আদেলুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, কমিউনিটি নেতা, ইমাম, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে এ বিভাগের নির্দেশনার যথাযথ অনুসরণ নিশ্চিত করার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।'
দীপু মনি জানান, গুণগত শিক্ষা এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য আরও বহুমাত্রিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপর্যুক্ত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে দেশের সকলের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বমান অর্জনের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতেও শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন অব্যাহত থাকবে এবং জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে এ প্রয়াস সহায়ক হবে বলে আশা করি। শিক্ষাক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রমসমূহ রূপকল্প, ২০২১ এবং রূপকল্প, ২০৪১ এর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মন্ত্রী আরও জানান, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে (এসডিজি) শিক্ষাকে মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সকলের জন্য সমন্বিত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী সুশিক্ষিত, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত মেয়াদে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে এবং ধাপে ধাপে এর বাস্তবায়ন করছে, যা এবারের নির্বাচনী ইশতেহারেও গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমপিওভুক্তিকরণ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য এমপিও’র কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ এবং অনলাইন ভিত্তিক করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস মনিটরিংয়ের জন্য অনলাইন ড্যাশ বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।