মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন বড় চ্যালেঞ্জ

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-29 16:12:30

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, 'বর্তমান সরকার দেশের যুব সমাজকে মাদক ও সকল ধরনের নেশা হতে মুক্ত করার লক্ষ্যে বহুবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে।'

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একত্রে কাজ করছে। গত বছরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় এক লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনকে আসামি করে এক লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা, ৪৫০ কেজি হিরোইন, ৬০ হাজার ৩৪৩ কেজি গাঁজা এবং ৭ রাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ বোতল ফেনসিডিল।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক পর্যায়ে পাঁচটি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। দেশটিকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে টেকনাফে অধিদফতরের ১৪ জন জনবল এবং আনসারসহ ২৪ জনবল বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সার্কেল কাজ করছে। এটাকে স্থায়ী সার্কেলে রূপ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে টেকনাফ সীমান্তে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।'

নাসিমুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'নিউ সাইকোট্রাফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) মাদক পৃথিবীর অনেক দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করলেও বাংলাদেশে এ শ্রেণির মাদক এখনো বিস্তৃতি লাভ করেনি। আমাদের দেশে ইতোমধ্যে ক্যাটামিন নামক এ শ্রেণির একটি ড্রাগের অপব্যবহার রোধে সরকার এটিকে মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বর্তমানে এটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর