সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের যত সুবিধা

, সংসদ

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম | 2023-09-01 19:51:24

মন্ত্রণালয়ের কাজের জবাবদিহিতা ও অগ্রগতি তুলে ধরতে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি ছায়া মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রতি মাসে অন্তত একটি করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে দশম সংসদে কোন কোন মন্ত্রণালয় এর ধারের কাছেও যায়নি।

নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ কমিটি গঠন করে থাকেন। প্রয়োজনে কমিটি পুন:গঠন করা যেতে পারে।

কমিটিতে একজন সভাপতি ছাড়াও ৯ জন সংসদ সদস্য এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ওই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন। তবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রিসভা গঠনের পর তাই সংসদ সদস্যদের আগ্রহ থাকে কোন একটি কমিটির সভাপতি হিসেবে যদি মনোনীত হওয়া যায়। সেজন্য এমপিদের আগ্রহের কমতি নেই। অনেকেই কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য দেন দরবারও করে থাকেন।

একাদশ সংসদ গঠনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন প্রক্রিয়া শেষে সংসদীয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এবার মন্ত্রিসভার মতো সংসদীয় কমিটিতেও অনেক নতুন মুখ। আবার দশম সংসদের বাদ পরা সিনিয়র মন্ত্রীদের ওই মন্ত্রণালয়ের সভাপতি করা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটিকে ছায়া মন্ত্রণালয় হিসেবে বিবেচনা করা হলেও কার্যত তাদের কোন কাজ নেই। কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কাজের ত্রুটি বিচ্যুতি খুঁজে বের করা ছাড়াও কিভাবে কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা যায় সেসব বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে সংসদীয় কমিটি। সংসদীয় কমিটিতে সুপারিশ করা ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত দেবার এখতিয়ার থাকে না।

সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা কি সুবিধা নিয়ে থাকেন? তাদের পদ মর্যাদা কি এই নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। তবে বাস্তবিক অর্থে মর্যাদাক্রম অনুযায়ী সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের আলাদা কোনো পদ মর্যাদা নেই। সভাপতিদের পদ মর্যাদা সংসদ সদস্য।

একজন সংসদীয় কমিটির সভাপতি যেসকল সুবিধা পেয়ে থাকেন। সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা সংসদ এলাকায় সরকারিভাবে একটি অফিস পেয়ে থাকেন। এর বাইরে একজন ব্যক্তিগতসহকারী (পিএস) পেয়ে থাকেন, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর থাকে।

এছাড়া অফিসে আপ্যায়ন খরচ বাবদ ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে থাকেন। এছাড়া সংসদ সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা একটি ফ্ল্যাট পেয়ে থাকেন। এর বাইরে বিশেষ কোন সুবিধা নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের সুবাদে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ থাকে সভাপতিসহ অন্যান্যদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর