কৃষকদের শস্য বীমা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভয়

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 01:57:12

কৃষকদের শস্য বীমা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'শস্য বীমার ইতিবাচক, নেতিবাচক দুইটাই আছে। মাঝে মাঝে দেখতে পাই কেউ নিজেই নিজের গোডাউনে আগুন লাগিয়ে বীমা দাবি করেন। তাছাড়া শস্য বীমা যদি স্বাভাবিকভাবে দিতে থাকি বা দেই ভয়টা হচ্ছে কৃষক আর কষ্ট করে চাষাবাদ করবে না। আমাদের আমদানি করে ভাত খেতে হবে।'

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'যদি শস্য বীমা স্বাভাবিকভাবে দিতে থাকি.. আমাদের ভয়টা হচ্ছে কৃষকরা তখন বীমার টাকা পাওয়ার জন্য তারা কষ্ট করে চাষাবাদ করবে না। তাহলে আমদানি করে ভাত খেতে হবে। এই বছর চাউলে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে। তবে আমি আশ্বস্ত করতে পারি অন্য কোন কারণে নয়। কিছু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আছে। সে সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে একটা প্রকল্প গ্রহণ করব। যদি ভালোভাবে চলে তাহলে বড় আকারে চিন্তা করব। শস্যবীমা পৃথিবীতে বহু দেশ আছে, সেখানে সফলতাও আছে, ব্যর্থতাও আছে, ব্যর্থতার সংখ্যা কম না। তবে আমি সম্পূর্ণভাবে বলছি না যে দেবো না। খুব সিলেকটিভ বেসিসে করব। হাওর এলাকায় একটা দুইটা করব। সফর হলে আস্তে আস্তে বিস্তৃতি ঘটাবো।'

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো টাকা পাচার হয়েছে। তার মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছি। এখনও ৬০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া বাকি রয়ে গেছে। এই বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। যেহেতু একটা মামলা করেছি, মামলাটি এখন চলমান সেজন্য সেটি নিয়ে সংসদে কথা বলা উচিত না।'

কাজী ফিরোজ রশিদের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি ফার্মাস ব্যাংক ফেল করেছে বলে পদ্মা ব্যাংক ফেল করবে এটা ঠিক না। আমি মনে করি পদ্মা ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে। সেজন্য যারা ফার্মাস ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছিলেন তারা সেই টাকা পদ্মা ব্যাংক থেকে পাবেন। কারণ পদ্মা ব্যাংক ফার্মাস ব্যাংকের উত্তরসূরি। কাজেই তারা বিনিয়োগকারীদের সেই অর্থ অবশ্যই ফেরত দেবে।'

আওয়ামী লীগের সদস্য ইসরাফিল আলমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অনেকের ধারণা আমাদের ব্যাংকিং নাজুক অবস্থায় আছে। কিন্তু আমাদের ব্যাংকিং খাত এতো খারাপ বলব না। যদি এতোই খারাপ হতো তাহলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সে অর্জন এটা হতো না। ব্যাংকিং খাত বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক অর্জন হয় না। আমাদের দেশের ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১৪-১৫ ভাগ। এটা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। প্রধানমন্ত্রী এই সুদের হার একক ডিজিটে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। তিনি বুঝে শুনে চিন্তা করেই একথা বলেছেন। আমরা চিন্তা করছি, চিন্তা-ভাবনা করেই একটা হার নির্ধারণ করব। আমরা কাজ শুরু করেছি, সুদের হার কমাবো, একক ডিজিটে নিয়ে আসব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর