মিথ্যা তথ্য দিয়ে বীজ বাজারজাত করলে দুই বছরের কারাদণ্ড

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 18:00:36

উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত কোনো জাত বা বীজ নিয়ে নিয়ে একতরফা বাণিজ্যের অপব্যবহার রোধ ও বাণিজ্যিক কারণে কোন জাত বা বীজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারজাত করলে সবোর্চ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রেখে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ বিল পাস করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এর আগে বিলের ওপর আনীত একটি সংশোধনীসহ বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

পাস হওয়া বিলে স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে সুরক্ষার বিধানসহ উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষকের আর্থিক পুরস্কার ও ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি সংরক্ষিত জাতের ভুল নাম ব্যবহার করলে বা জাতের উৎপাদনের দেশ, স্থান প্রজননবিদের নাম ঠিকানা মিথ্যা বা বিকৃত করে বিক্রয়, প্রদর্শন বা সংরক্ষণ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচলাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।

বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিলে কৃষক ও প্রজননবিদদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান করার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ও জিএমওকে ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করবে। উদ্ভিদের প্রজাতি নির্ধারণও এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে। এই বিলে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচের বিষয় জড়িত থাকা সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষিক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্ব অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯ বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর