আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জন্য ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এটি ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে সংসদ সচিবালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ। পরে অবশ্য সংশোধিত বাজেটে তা কমে যায়। তবে সেই পরিমাণ কত, তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩০তম বৈঠকে এই বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় সংসদের জন্য উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে মোট ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকার প্রাক্কলিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া ২০১৮-২০১৯ এর সম্পূরক বাজেট অনুমোদন করা হয়। এছাড়া ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রক্ষেপণ অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ব্যয়ের ৯০ ভাগই পরিচালন খাতে যায়। আমাদের উন্নয়ন বলতে তেমন কিছু নেই। শুধু মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু নিয়ে একটি প্রকল্প আছে। কাজেই ব্যয়টা একেবারে হিসেব অনুযায়ীই হয়।
এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের, সাংবাৎসরিক কর্মচারীদের দৈনন্দিন ভাতা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। সেক্ষত্রে কারো ৫০ টাকা, কারো ১০০ টাকা বেড়েছে।
স্পিকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অংশ নেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগদান করেন।
বৈঠকে সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নতুন পদ সৃষ্টিসহ পদোন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে সংসদের লেক সংস্কারের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব।
বৈঠকে আলোচ্যসূচি উপস্থাপন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।