বাড়তি খরচের অনুমোদন পাচ্ছে ৩৭ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 02:32:56

বিদায়ের পথে ২০১৮-১৯ অর্থবছর। আর মাত্র কয়েক দিন বাদেই নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছর শুরু হবে। তাই বিদায়ী অর্থবছরে খরচ হওয়া অর্থের অনুমোদন নিতে সংসদে নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল, ২০১৯ পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থবছরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুর করা বরাদ্দের চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া এবং নির্দিষ্ট করার জন্য এই বিল পাস করা হয়।

আরও পড়ুন: আবারও সংসদে উত্তাপ ছড়ালেন বিএনপির রুমিন

বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষে এসে দেখা যাচ্ছে, খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। এটিই হচ্ছে সম্পূরক বাজেট। এই বাজেট সোমবার (১৭ জুন) সংসদে কণ্ঠ ভোটে পাস হবে। রোববার (১৬ জুন) সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে বেশি খরচ করেছে ৩৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। আর ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে পারেনি।’

আরও পড়ুন: বরাদ্দের তিন গুণ বেশি খরচ করেও ধন্যবাদ পাচ্ছে ইসি  

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের চতুর্থ দিনের কার্যসূচি শুরু হবে। শুরুতেই মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হবে। এরপর সম্পূরক বাজেটের ওপর আনিত মুঞ্জরী দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। স্পিকার যে কয়টি দাবির ওপর আলোচনার সুযোগ দেবেন সেই কয়টি দাবির ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যগুলো সংসদে কণ্ঠ ভোটে পাস হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: বাজেট আলোচনায় রাজনৈতিক উত্তাপ

এবার সংসদে জাতীয় পার্টি, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, গণফোরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ কয়েকটি বিরোধী দল ও জোটের সংসদ সদস্য রয়েছেন। এজন্য মুঞ্জরী দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় সরকারকে কড়া সমালোচনা সইতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারই ইঙ্গিত রোববার সাধারণ আলোচনায় উঠে এসেছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনে সর্বোচ্চ খরচ করায় সেই টাকাকে অপচয় করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত খরচ করায় সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। এ রকম মন্ত্রণালয় ও খাত ভিত্তিক কঠোর সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। আর যে সব মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেওয়ার পরেও খরচ করতে পারেনি তাদের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংসদ সদস্যরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর