১৭০ খাদ্য গুদাম ও ২০০ সাইলো নির্মাণ করবে সরকার

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে | 2023-08-30 16:30:46

খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে আরো ১৭০টি খাদ্য গুদাম ও ২০০টি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, আরো ১৭০টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হবে। এসব গুদামের মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম থাকবে ১৬২টি এবং ৫ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৮টি স্টিলের সাইলো থাকবে।

তিনি আরো জানান, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রথম প্রতি কেজি ২৬ টাকা বা প্রতি মণ ১ হাজার ৪০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। পরে এ বছর ধানের বাম্পার ফলন বিবেচনায় নিয়ে একই দরে আরো ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এ মৌসুমে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল ও প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল মিলারদের কাছ থেকে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৮টি দেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। এ দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপিয়ানভুক্ত ২৮টি এবং অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তুরস্ক, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও চিলি রয়েছে। জিএসপি সুবিধার আওতায় রুলস অব অরিজিন শিথিলসহ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বিদ্যমান শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোতে রফতানি সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও রফতানি আশানুরূপ বৃদ্ধি না পেলে বিদেশে অবস্থিত বাণিজ্য মিশনগুলো সভা, সেমিনার ও মেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ওই দেশের ব্যবসায়ীদের অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশে থেকে ইস্যুকৃত জিএসপি সনদ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেসব বিষয়ে বাণিজ্য মিশনগুলো মন্ত্রণালয়, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও অন্যান্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে থাকে।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর