জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: একাদশ সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সংসদে স্পিকারের রুলিং দাবি করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সদস্যদের কেউ কেউ সংসদকে অবৈধ বলেন, তাহলে তারা সংসদে কেন আসলেন? সংসদে দাঁড়িয়ে কেউ যাতে সংসদকে অবৈধ বলতে না পারেন, সে জন্য স্পিকারের রুলিং দাবি করছি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। এ সময় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এই সংসদের কিছু সদস্য দাঁড়িয়ে বলেন, সংসদ অবৈধ। আমরা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হইনি। সংসদকে উনারা যদি অবৈধ মনে করেন, তাহলে তারা এই সংসদে কেন আসেন? শপথ নিলেন কেন? সংসদে বসে সংসদকে অবৈধ বলা অনৈতিক। স্পিকারকে বলব এ ব্যাপারে আপনি সুস্পষ্ট রুলিং দিন, কোনো সংসদ সসদ্য এই সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদকে অবৈধ বলতে পারবেন না।’
বাজেট প্রসঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে আমরা অনেক দুর এগিয়েছি। আমাদের অনেক সমস্যা ছিল, তা কাটিয়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই পার হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছি। বঙ্গবন্ধু সে দিন স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, মানুষকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন যে এদেশ স্বাধীন হবে। সেই বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন বলেই মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আজ শেখ হাসিনা বিশ্বাস করিয়েছেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কর আদায় মাত্র ৯ ভাগ। জিডিপি রেট ৯ থেকে ১০ ভাগ। এই সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। তা না হলে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব না। ঘাড়তি পুরণে যদি ব্যাংকের ঋণের উপর নির্ভর করেন, কিন্তু ব্যাংকে এখনও তারল্য সংকট আছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেন। কিন্তু মোবাইল ফোন আমদানিতে ট্যাক্স বাড়িয়ে সেটা সম্ভব না। সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানো উচিত হবে না, সম্পূর্ণ অনৈতিক হবে।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও গত কয়েক বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো যায়নি। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমাদের সংস্কারের দিকে নজর দিতে হবে। যদি সংস্কারগুলো হয়, তবে প্রত্যেক জায়গায় সাধারণ মানুষ এগিয়ে যাবে। যদি দুর্নীতি কমাতে পারি, স্বচ্ছতা আনতে পারি, তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’