নুসরাত-রিফাত হত্যাকাণ্ডের মতো ন্যাক্কারজনক হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 13:14:50

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি বরগুনার রিফাত হত্যাকাণ্ড এবং কিছুদিন আগে নুসরাত হত্যাণ্ডের মতো ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিচার নিষ্পত্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন হলেও দু:খজনক হলেও সত্য উচ্চ আদালতে গিয়ে সেই মামলাগুলো আটকে যাচ্ছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক আইনপ্রতিমন্ত্রী । এরআগে সকাল সাড়ে ১০ টায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে। আমাদের মধ্যে পশুবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক মূল্যবোধের চেয়ে পশুবৃত্তি বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আমাদের বিপদগ্রস্ত হতে হচ্ছে। দুই দিন আগে বরগুনায় রিফাতের হত্যাকাণ্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে অথচ যারা ভাইরাল করছে কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না। ছেলেটাকে তার স্ত্রীর সামনে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেভাবে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে দেখে কেউ এগিয়ে যায়নি। এইরকম ঘটনাগুলো নৃসংশ হত্যা। দিনেদিনে মানবিক মূল্যবোধ, মনুষ্যত্ব ক্রমন্বয়ে কমে যাচ্ছে। এ কারণে দ্রুত সময়ে এগুলোর বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কামরুল ইসলাম বলেন, রিফাত হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিচার করতে হবে, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী সবাই বলছেন বিচার করতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরাও বলেছি বিচার করতে হবে।

এ সময় তিনি যখন আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখনকার ঘটনার বর্ণনা করে বলেন, তখন বিশ্বজিৎ্ হত্যার মামলা ৬০ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করেছি। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার করেছি। ৭ খুনের মামলার বিচার করেছি। সিলেট পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা মামলার বিচার হয়েছে। নুসরাত হত্যা এধরনের ন্যক্কারজনক মামলার বিচার যেভাবে চলছে, যেভাবে সাক্ষী চলছে তাতে বিচারটা হবে। আশা করছি দুই তিন মাসের ভেতরে বিচার শেষ হবে। সর্বোচ্চ শাস্তিও পাব। কিন্তু  দু:খজন হলেও সত্য নিম্ন আদালতের বিচার পাচ্ছি ঠিক, সর্বোচ্চ শাস্তিও পাচ্ছি। মানুষ কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না। কারণ চূড়ান্ত বিচার পাচ্ছি না এবং তাদের দণ্ড কার্যকর করা যাচ্ছে না। পরিবারগুলো অভিশাপ দিচ্ছে তারা দ্রুত দণ্ড কার্যকর চায়।

আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সমস্ত বিচারগুলো নিম্ন আদালত সফলভাবে শেষ করছি কিন্তু আপিল বিভাগে আটকে যাচ্ছে।  নিম্ন আদালতের রায় দিয়ে বলতে পারব না রায় কার্যকর হয়েছে, বিচার হয়েছে। দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য হাইকোর্টে আইনের সংশোধনের প্রয়োজন নেই। শুধু অ্যাটর্নি জেনারেল যখন পেপার রেডি করেন, তখন পেপার ‍বুক তৈরি করতে বলেন। যাতে দ্রুত সময়ে আপিল বিভাগে বিচার নিষ্পত্তি ব্যবস্থা করা যায়। অনেক ঘটনার বিচার কার্যকর করতে পারছি না বছরের পর বছর আটকে আছে। এসব ক্ষেত্রে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল দিচ্ছেন। বিভিন্নভাবে রুল দিচ্ছেন। কাজেই দ্রুততম সময়ে মধ্যে যাতে আপিল নিষ্পত্তি হয় সেই ব্যবস্থা করুন। দ্রুততম সময়ে আপিল নিশ্চিত করতে পারলে জবাবদিহিতা বাড়বে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর