মনোনয়ন বাণিজ্যের টাকা কোথায়, সুইস ব্যাংকে খোঁজ নিলেই মিলবে

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট। | 2023-08-20 12:44:17

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে মনোনয়ন বাণিজ্যটা করেছে সেই টাকাগুলো কোথায় রেখেছে, তার খোঁজ নিলেই সুইস ব্যাংকের হিসাবটা মিলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুইস ব্যাংকের হিসাব নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন টাকা সুইস ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। আপনার যাদের প্রশংসা করেন, যাদের কথা বেশি বলেন সুইস ব্যাংকের হিসেবের তালিকায় তাদের কথাটাই বেশি এসেছে। শুধু তা না, এমনও তথ্য এসেছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে একটা আসনের বিপরীতে ৩ জনের অধিক বা দুই জনের অধিক মনোনয়ন দিয়ে যে বাণিজ্যটা করল তার টাকাগুলো কোথায় রাখল? এই খোঁজটা করলে সুইস ব্যাংকের হিসাবটা পেয়ে যাবেন।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে অর্থবিল-২০১৯ পাসের প্রস্তাব উত্থাপনের পর জনমত যাচাইয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এবারই  প্রথম অর্থ বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী। সাধারণত এটি অর্থমন্ত্রী উত্থাপন করে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট উত্থাপনের পর প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার আছে। মন্ত্রীরা একমত কি না, বা সংসদ সদস্যরা একমত কি না? বাজেট যখন তৈরি হয় তখন সবার মতামতটা নেওয়া হয়। বাজেট যখন কেবিনেটে পাস হয়, পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর নিয়ে সংসদে আসে। বাজেট যেদিন উপস্থাপন করা হয় বিশেষ কেবিনেটের মাধ্যমেই বাজেট উপস্থাপন করা হয়। কাজেই সেখানে মন্ত্রীদের সকলের মতামতটা থাকে। তারপরও কথা বলার অধিকার সকলেরই আছে।

গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, উনি এক লাখ অটোমেশন মেশিন উপহার দেবেন। এটা আমরা গ্রহণ করলাম, উনি উপহার দেবেন। এখানে জনমত যাচাইয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি যখন উপহার দিতেই চাচ্ছেন, দেশকে দেবেন, তিনি যথেষ্ট স্বচ্ছল তিনি পারবেন। দেবার মত ক্ষমতা তার আছে।

খেলাপি ঋণ নিয়ে সংসদ সদস্যের ক্ষোভের জবাবে সংসদ নেতা বলেন,  খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিটা কখন আসছে? যখন থেকে এই দেশে সামরিক শাসন এসেছে। এই সামরিক শাসন কিভাবে এসেছে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর। সামরিক শাসকরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে কিছু লোককে বিশেষ সুবিধা দিতে গিয়ে ব্যাংক থেকে অকাতরে ঋণ নেওয়া এবং ঋণ পরিশোধ না করার সংস্কৃতির সৃষ্টি। এটা ব্যাংকের ইতিহাস।

তিনি বলেন, যখন থেকে জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন থেকে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি শুরু। সেখান থেকে বের করে আনা অত্যন্ত কষ্টকর। তবে দেশে ধারাবহিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থাকলে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি চলে যেতে বাধ্য। ঋণে খেলাপি দূর করতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, নিয়ে যাচ্ছি।

কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় মানুষের অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ আসে। কিন্তু এই অপ্রত্যাশিত অর্থটা কোনো কাজে লাগানো যায় না। তখন তাদের একটা সুযোগ দেওয়া হয়,  তখন এই টাকাটা মূল ধারায় চলে আসে। তবে কোথায় গুজে রাখছে বা বিদেশে পাচার করছে কিনা- এটাও  একটু খতিয়ে দেখা দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর