জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ নিয়ে সমালোচনা করেন বিএনপি দলীয় দুই সংসদ সদস্য তার জবাব দিতে সরকারি দলের ভূমিকায় ছিলেন জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্যরা। এ সময় বিএনপি’র রুমিন ফারহানা বলেন, এমন একটা সংসদে আছি কোনটা সরকারি দল কোনটা বিরোধী দল বুঝতে পারছি না।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট পাসের আগে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বরাদ্দ ও মুঞ্জুরি দাবির ওপর আনিত ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচানায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ডাক্তাররা এত বেশি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে মানুষ এখন মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না।
এর জবাব দেন জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজী। তিনি বলেন, সব দোষ খালি ডাক্তারদের দিলে চলবে না। একটা-দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমস্ত ডাক্তার, সমস্ত হাসপাতাল খারাপ বলবেন এটা তো ঠিক না।
তিনি বলেন, এমন কোন হাসপাতাল নাই যেখানে ২০ টা ৩০ টা অপারেশন হয় না। বঙ্গবন্ধুতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়। ব্রোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়। মানুষের টাকা যখন হয় সর্দি কাশিতেও সিঙ্গাপুর যায়, ভারত যায়, ফেরাবেন কিভাবে? খোঁজ নেন কার কত টাকা আছে। ধনীলোকগুলো ইচ্ছে করে যায় আমাদের দেশকে অপমান করার জন্য।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য বলেছেন চিকিৎসা হয় না, একটি ছেলে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমি দেশে নিয়ে আসলাম, তার চোখে অপারেশন হচ্ছে। আমার নিজের চোখ অপারেশন করেছি।
বিএনপি এমপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসলে আপনাদের দেশের উপর আস্থা নাই। আপনারা সমস্ত ডাক্তারদের দলীয়করণ করেছেন। এরজন্য কে দায়ী? বি চৌধুরী প্রথম ড্যাপ করেন জিয়ার আমলে। আপনারাই ডাক্তারদের দলীয়করণ করেছেন।
এ সময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সৎ তার বাবার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপি’র রুমিন ফারহানা বলেন, এমন সংসদে বসেছি, কোনটা সরকারি দল, কোনটা বিরোধী দল কিছুই বুঝি না।
জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন বলেন,, বিরোধী দল কি করবে? সরকার যদি ভাল কাজ করে সেটার প্রশংসা করে। কিন্তু সংসদে ৪০০ কার্য দিবসে মাত্র ১০ দিন উপস্থিত হওয়া এর নাম বিরোধী দল না। আমরা জাতীয় পার্টির অন্তত সেই বিরোধী দল হতে চাই না।
মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি ভাল মানুষ আপনি পৈত্রিক সূত্রে মন্ত্রী।