চতুর্থ অধিবেশনে উঠছে কাস্টমস বিল

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-30 05:35:38

কাস্টমস ঘোষিত রুট ও বন্দর ছাড়া পণ্য খালাস বা রফতানিতে বিধি নিষেধ আরোপে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে পণ্য আমদানি-রফতানিতে স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি সংসদে উত্থাপন করলেও সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেটি আর পাস করাতে পারেননি। দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে বিলটি উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে কাস্টমস বিল-২০১৯ উত্থাপন করা হবে। বিলটি পাস হওয়ার পর কাস্টমস ঘোষিত রুটের বাইরে অন্য রুট বা বন্দর দিয়ে পণ্য খালাস বা রফতানি করলে সেই পণ্য বাজেয়াপ্ত ও পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

বিলে শুল্ক ও কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে ওয়্যার হাউজ সুবিধার অপব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্ত করাসহ সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও শুল্ক করের দ্বিগুণ জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। শুল্ক পরিশোধ ছাড়া পণ্য খালাসে সহায়তা করলে একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে কোন ব্যক্তিকে পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বিলে পণ্য বাজেয়াপ্ত বা জরিমানা আরোপের আগে এই আইনের অধীন কোন কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা যাবে না। জরিমানা ও সর্বোচ্চ দণ্ডের পরিমাণ কাস্টমসের কর্মকর্তা বা বিচারক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এজন্য আইনে কাস্টমস হাউজ বা ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার সর্বোচ্চ জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। এছাড়া ২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৮ সেপ্টেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশন শুরু হবে। প্রথম দিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ওপর শোক প্রস্তাবের আলোচনা শেষে অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণা করা হবে। এরপর অন্য যে কোন দিন বিলটি উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। পরে বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটি চূড়ান্ত করার পর বিলটি পাস হবে, এরপর রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

সংসদের কার্য তালিকায় উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪টি বিল। বিলগুলো হচ্ছে—বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৯, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন বিল-২০১৯, বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিল-২০১৯, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিলটি কমিটিতে বিবেচনাধীন রয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত এসব বিল সংসদ সচিবালয়ের কার্য তালিকাভুক্ত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর