এমপিদের এলাকার উন্নয়ন কাজে নজর দিতে আহ্বান

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-10-06 12:15:04

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সংসদ সদস্যদের নিজেদের এলাকার উন্নয়ন কাজে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমপিরা তাদের এলাকার কাজগুলো দেখলে দেখবেন দেশের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হচ্ছে। এ দেশের মানুষ তো ভোটার, তাদের মঙ্গল করা প্রত্যেক সংসদ সদস্যের দায়িত্ব। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেটাই আশা করি।

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের কী দুরাবস্থা ছিল? ১৬০০ মেগাওয়াট দিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রথম ধাপে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করলাম। দ্বিতীয়বার সরকারে এসে দেখলাম সেটা কমিয়ে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়েছে। পুনরায় ৩ হাজার ২০০ থেকে যাত্রা শুরু এখন ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছি।

বিএনপি-জামায়াতের তুলনায় কিছুই করছি না

বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোলার প্যানেল, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়, বহুমুখী ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। পাশাপাশি সঞ্চালন লাইন করে দিচ্ছি মানুষ যেন বিদ্যুৎ পায়। গ্যাসের অনুসন্ধান চলছে কিন্তু গ্যাসের স্বল্পতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের যখন চরম দুরাবস্থা তখন ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক, ডিজেল ভিত্তিক স্বল্পমেয়াদী বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিকল্পনা গ্রহণ করি। এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয় ২৬ টাকা, সেখানে আমরা নিয়েছি মাত্র ৩ টাকা কি ৪ টাকা, তা দামটা বাড়ল কোথায়? আর গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সেটাও প্রায় সাড়ে ৬ টাকার মতো লাগে। আমরা এলএনজি আমদানি করছি। যদি সঠিকভাবে বিতরণ করি তাহলে দাম পরে ৬০ টাকা, আমরা নিচ্ছি মাত্র ১২ টাকা। আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি, সমস্ত ট্যাক্স ফ্রি করে দিয়েছি। বেশি টাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে বিদ্যুৎ দেওয়ার পরও যদি কেউ বলে দাম কেন বাড়ল? তাহলে বিদ্যুৎ দরকার নাই, বন্ধ করে দেই সব। এরপরেও যদি এই কথা আসে তাহলে তো আর বিদ্যুৎ ব্যবহার করার দরকার নেই। তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে টাকা খরচ সেই টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে হবে।

সংসদ নেতা বলেন, আমরা লাভ করতে চাই না। খরচের টাকা তো পেতে হবে। সেই খরচের টাকাও তো নিচ্ছি না। যেখানে ৬ টাকা খরচ হয় সেখানে ৪ টাকায় দিচ্ছি। যদি গ্যাস ভিত্তিক তেল ভিত্তিক সবকিছু মিলে ধরি তাহলে খরচ আরও বেশি হবে। সেটা তো আমরা নিচ্ছি না। যখন বিদ্যুৎ ছিল না, যারা শিল্পকারখানা চালাত তাদের আলাদা জেনারেটর চালাতে হতো। কত টাকা খরচ হতো? আর ঘরে ঘরে যে বিদ্যুৎ থাকত না তখন তো জেনারেটরে খরচ হতো। আজকে তো সেই খরচ করতে হচ্ছে না। তাহলে দামটা দিতে আপত্তি কেন? আর দাম বাড়ালো বলে আন্দোলন কেন? সেটা আমার প্রশ্ন। সবাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে বিলটা কমে যাবে। সাবই সাশ্রয়ী হবে সেটাই চাই। আমরা চাই প্রতিটি ঘর আলোকিত হোক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর