বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট থেকে দেওয়া সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য সংসদীয় কমিটিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে দুদকের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের হাজির করে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংসদ ভবনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট থেকে দেওয়া সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা কমিটিকে অবহিত করেন। এ সময় কমিটি হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কমিশন থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করে দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন ফি কীভাবে নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া রেজিস্ট্রি দলিল হাতে না লিখে শতভাগ কম্পিউটারে কম্পোজ করে রেজিস্ট্রি কার্যক্রম সম্পাদনা করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
দেশের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমি রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাইজেশনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, জনদুর্ভোগের জন্য কারা জড়িত এবং কীভাবে তাদের হাত থেকে জনগণকে সহায়তা প্রদান করা যায় সে বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য কমিটি সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারকে আহ্বায়ক এবং মো. আব্দুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং বেগম রুমিন ফারহানাকে সদস্য করে চার সদস্য বিশিষ্ট সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য বেগম সাহারা খাতুন, মো. আব্দুল মজিদ খান, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, শেখ ফজলে নূর তাপস এবং শামীম হায়দার পাটোয়ারী অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সারওয়ার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।