জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি মিজানুর রহমান আজহারী ও তারেক মনোয়ার যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষ নিয়ে ওয়াজ মাহফিল করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিষয়টি উত্থাপন করেছেন সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক নেতা মো. শফিকুর রহমান। তার বক্তব্যের শেষে সভাপতির চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য আসছে, এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রাজাকার ছিলেন। প্রকাশ্যে আদালতে তার বিচার হয়েছে, বিচারে তার শাস্তি হয়েছে। মিজানুর রহমান আজহারী ও তারেক মনোয়ার বলছেন ঘরে ঘরে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বেরিয়ে আসবে। শুধু তাই না একজন বলছেন, এখন আর তীর ধনুকের যুগ না, এখন একে ফোরটি সেভেনের যুগ। এটি প্রচ্ছন্ন নয়, প্রকাশ্যে হুমকি। এই ধরনের জামায়াত, শিবির, রাজাকার তারা এতো তৎপর হয়ে গেছে তাদের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হয়ে যায়, আমাদেরগুলোতে হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের নামের প্রতিষ্ঠান হয় না। আমার বন্ধু শহীদ জাবেদের নামে হাই স্কুল আছে সেই স্কুলে বিল্ডিং হয়নি। পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
জিয়াউর রহমানের শহীদ বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছে? একটা জায়গা দেখাক। শুধু ষড়যন্ত্র করেছে মোস্তাকের নেতৃত্বে। শেষের দিকে মুজিবনগর সরকারের কাছে ষড়যন্ত্র ধরা পড়ায় মোস্তাককে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন। আর জিয়াউর রহমানকে ইন্যাকটিভ করে রেখেছিলেন, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাস।