জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কর জিডিপির হার কিছু ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের থেকেও কম বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, ‘কর-জিডিপির হার দক্ষিণ এশিয়াতো বটেই বিশ্বে বাংলাদেশের কর জিডিপির আয় নিম্নতম। এমনকি নেপালের চেয়েও কম। অনেক ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের চেয়ে নিচে। এটা লজ্জাজনক, উদ্বেগজনক আখ্যায়িত করেছেন। কর জিডিপির হার ২০ শতাংশ হলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৮ লাখ কোটি টাকা হতো এবং বাজেট ১২ লাখ কোটি টাকা দেওয়া সম্ভব হত। দেশে কর জিডিপির হার লজ্জাজনক ও বিব্রতকর। এই কারণে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে না।
করজিডিপির হার কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, কর-জিডিপির হার কম হওয়ার কারণ বিপুল সংখ্যক ধনির কাছ থেকে কর না নেওয়া। আমাদের বিপুল সংখ্যক ধনি আছে আয় কর নিচ্ছি না। যা শুধু লজ্জাজনক না উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, আয় কর দেওয়ার যোগ্য অনেক লোক থাকলেও সরকার তাদের কাছে যেতে পারছে না বা পৌঁছাতে চাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। কর-জিডিপির হার কম হওয়ার বড় কারণ অনিয়ম দুর্নীতি এটা দুদক বলছে।
তিনি বলেন, দুদক-নিবিড় গবেষণা করে মন্ত্রিপরিষদকে জানিয়েছে অনিয়ম দুর্নীতি রোধ করতে পারলে বছরের অন্তত ১ লাখ ১২ হাজার কোটি বাড়তি রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব, যা জিডিপির ৫ শতাংশ।
জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, শেয়ার বাজারে বড় ধস। টাকার অভাব হয়েছে। সরকার টাকার খোঁজে সবখানে যাচ্ছে। ৬১ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা আনতে বিল আনা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ উল্লেখ করে বলেন, লুটপাটে ডুবল ওয়াসার ৩৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প। ওয়াসার এই কাজ ৮ মাস আগে শেষ হয়েছে, পানি আসেনি ঢাকায়। পরীক্ষামূলকভাবে ৫ মিনিট পাম্প চালু করতেই ফেটে যায় পাইপ। এসব গণমাধ্যমে এসেছে।
তিনি বলেন, অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। গত ৫ বছরের প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারমধ্যে চাকরিচ্যুত হয়েছে মাত্র ৬৭ জন। এখানে সুশাসনের বড় অভাব।