জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মৃত মুক্তিযোদ্ধা যারা এখন পর্যন্ত সনদ পায় নাই তাদেরসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
মন্ত্রী জানান, সকল শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে ন্যূনতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ প্রদান। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি স্মারকমূলে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদান সংক্রান্ত সুবিধাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো উদ্যোগে প্রয়োজনবোধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানিত ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার প্রতিনিয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার সম্মানিত ভাতাসহ ২টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত ভাতা দেওয়া হচ্ছে।