তামাক একটি অর্থকরী ফসল। একই সঙ্গে এটি জাতির জন্য ক্ষতিকারকও। তাই তামাক চাষ বন্ধ করার আগে উৎপাদনের জন্য আমাদের বিকল্প ফসল খুঁজে বের করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চামেলি হাউজ, সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতীয় সংলাপ ২০২০’ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এসব কথা বলেন। তামাকে সরকারি অংশীদারিত্ব নিরুৎসাহিত করতে অনুষ্ঠানটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয় ‘তামাকে মৃত্যু হয়, অংশীদারিত্ব আর নয়’।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান এর চেয়ারপারসন আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণ করেন খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই চর এলাকায় তামাকের চাষ প্রায় ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। তামাকের পরিবর্তে সেখানে এখন ভুট্টা চাষ হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না করে তামাক উৎপাদন শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়, কেননা এখানে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িয়ে আছে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আন্দোলন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে। আর তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ-এর অংশীদারিত্ব ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ভুট্টা চাষ একটি সহজ পদ্ধতি, কৃষকরা সহজেই তামাকের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করতে পারে। কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষকে উৎসাহিত করতে সুপ্র (সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান) কে আরেকটি অভিযান চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ধূমপান ছেড়ে দেয়া কঠিন কিছু নয়। যারা নিয়মিত ধূমপান করে থাকে হঠাৎ করেই তাদের জন্য বাদ দেয়া কঠিন। তবে দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে ধীরে ধীরে তামাক সেবন বন্ধ করাটা খুবই সহজ।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, এনজিও এবং মাদকবিরোধী প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।