জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী, দেশে স্বাদু পানির ৬৪ প্রজাতির মাছ হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি জানিয়েছেন, এর মধ্যে নয়টি অতি বিপন্ন, ৩০টি বিপন্ন এবং ২৫টি শঙ্কাগ্রস্থ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত কাপ্তাই লেকে প্রায় ১৩ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে।
তিনি জানান, অবাধ প্রজনন ও বিলুপ্তির পথে মাছ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কাপ্তাই লেকে ৭টি অভয়াশ্রম ও ৬টি ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব অভয়াশ্রম থেকে মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ভাসমান মোবাইল মনিটরিং সেন্টারের মাধ্যমে করপোরেশন অভয়াশ্রমগুলোর পাহারা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে কাপ্তাই লেকে বিলুপ্তপ্রায় মৎস্য প্রজাতি রক্ষার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি দলের আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৪৩২টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানান, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশে চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বেশি মৎস্য উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে দেশে মাথাপিছু মাছের চাহিদা ৬০ গ্রাম এবং এ চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২ দশমিক ৫৮ গ্রাম। এ হিসাবে দেশে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। এ সময়ে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।