জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা রয়েছে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কি প্রকারের হবে এবং এর দ্বারা কি কি সেবা প্রদান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলোচনা ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সরকারি দলের আরেক সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মোবাইল গ্রাহকের নিকট প্রলুব্ধকরণ ও প্রতারণামূলক অফার ও বিরক্তিকর মেসেজ বন্ধের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে মোবাইল ফোন গ্রাহক তার সংশ্লিষ্ট অপারেটরের জন্য নির্ধারিত শর্টকোড ডায়াল করে Do Not Disturb ফিচারটি চালু করে নিলে গ্রাহকের কাছে আর কোন প্রমোশনাল মেসেজ আসবে না। তবে সরকারি তথ্য এর অন্তর্ভুক্ত নয়। অপারেটর ভিত্তিক Do Not Disturb শর্টকোড গুলো হচ্ছে-গ্রামীণফোন-*১২১*১১০১#, রবি এয়ারটেল-*০৭# ও বাংলালিংক-*১২১*৮# তারপর অপশন-৬।
জরুরী এসএমএস ব্যতীত রাত ১০টার পর হতে সকাল ৮টা পর্যন্ত যেন কোনো প্রমোশনাল মেসেজ গ্রাহকদের না পাঠায় সেজন্য মোবাইলফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন পদ্ধতি চালুর ফলে ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। তথাপি এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবহিত হলে সেই মোবাইল নম্বর বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।