জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ নামে একটি বিল পাস হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি)স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকোচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জলসীমায় চলাচলের সময় জাহাজের মালিক, এজেন্ট বা মাস্টারকে বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে। মাশুল আদায় করবেন সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশন। বাতিঘর মাশুল পরিশোধ না করে কোনো জাহাজ নৌপথে চলাচল করলে তা আটকে রাখা হবে। আটক জাহাজ অতিরিক্ত মাশুল দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে আবেদন করলে, তা ফেরত দেওয়া হবে।
এরআগে গত ১৫ জানুয়ারি সংসেদ বিলটি উত্থাপন করা হয়। ১৯২৭ সালের ‘দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট’ বাতিল করে নতুন আইন করতে এ বিল আনা হয়।
অন্য দিকে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ নামে আরো একটি বিল উত্থাপন করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করলে এর বিরোধিতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। কিন্তু তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি পরীক্ষা শেষে কমিটিকে এক দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিলে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় লোগো রেজিস্ট্রেশনের বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন শুধু কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। ফলে সংশোধিত বিলটি পাস হলে কোম্পানির কমন সিল, সাধারণ সিল ও অফিসিয়াল সিল নিবন্ধনের বিধান বিলোপ হবে।