জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, নারী উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে বলেন, এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর হবে। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বিশেষ করে আবহাওয়া, পরিবেশ, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক অবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয় মিল রয়েছে। দু’টি দেশই যুদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দুই দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফরের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে ভিয়েতনামের স্পিকারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ভিয়েতনামকে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতার অনুরোধও জানান তিনি। এ সময় তিনি ২০১৭ সালে ভিয়েতনাম সফরের স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে সঠিক পথে রয়েছে। স্পিকার রাষ্ট্রদূতকে ঢাকার বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষ করে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষার প্রসার, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
ফাম ভিয়েত চিয়েন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এসময় তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিক জিডিপি ৮ শতাংশ অর্জনের প্রশংসা করেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যে ভিয়েতনামও উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।