জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মিজানুর রহমান আজহারীর কঠোর সমালোচনা করে রাসুলের অবমাননাকারীদের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদানে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, “মিজানুর রহমান আজহারী রাসুলকে নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন রাসুল নাকি নিরক্ষর, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, বিজয় দিবস নাকি শিরক করা। আর মাজার লাথি মেরে ভেঙে ফেলতে বলেছেন। ওই লোক কিভাবে দেশের বাইরে চলে যায়? দেশের বাইরে গিয়ে মানুষের জিম্মায় গেল? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে। সেখান বসে আবার কাজ শুরু করেছে। ও হচ্ছে ডক্টর কামাল হোসেনের বড় ভাই।”
দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিধানে জাতীয় ঈদগাহে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিভ্রান্তি নিরসনকল্পে শান্তির জন্য বির্তক থেকে বাঁচতে রাসুলের অবমাননাকারীদের আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদানে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না দেওয়ার জন্য ৭ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান করার আহ্বান জানান তিনি।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, “রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে হবে। তা না হলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। কারণ গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। জামায়াত-শিবির বসে নেই, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র বসে নেই।”
তিনি বলেন, “আমাদের ক্রিকেট দল বিভিন্ন দেশে খেলতে যাবে, পাকিস্তানেও যাবে এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের ক্রিকেট টিম পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল। গত ২৫ জানুয়ারি পাকিস্তানে খেলার সময় স্টেডিয়ামে উই আর নিজামি লেখা ব্যানার প্রদর্শন করা হয়েছে। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতাকে অপমান করা হয়েছে। মুজিববর্ষে সারা বিশ্বের সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হোক। কিন্তু পাকিস্তানের কোনো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা মুজিববর্ষে দেখতে চাই না। সেটা করা হলে বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা হবে।”