জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মুজিব বর্ষে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, মুজিব বর্ষে ১৪ হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে বাড়ি দিয়ে সম্মানিত করা হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে শাজাহান খানের আনিত নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সম্মানিত করা শুরু করে। তখন ৩০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হতো ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে আজকে ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে এবং ৪০ হাজারের স্থলে শতভাগ মুক্তিযোদ্ধারাই এই ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী বাজেটে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুজিব বর্ষে ১৪ হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে বাড়ি করে দেব। মুজিব বর্ষে এমন করে সম্মানিত করা হবে। এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক উপহার থাকবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য প্রত্যেক হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আগাম দিয়েছি। যাতে কোন মুক্তিযোদ্ধা এসে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করে ফিরে না যান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সেই চুক্তি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ টাকা খরচ করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন দাবি করবে তখনই তাদের টাকা বরাদ্দ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে। তাই অবশ্যই সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দিতে সরকার আন্তরিক।