কুয়েতে মানব পাচারে অভিযোগের তীর এবার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি দাবি করেছেন তাকে হেয় করতেই এমনটি করা হয়েছে।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা এমন একটি খবর দিয়েছে। পরবর্তীতে সেই খবর বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়।
এই আইন প্রণেতার বিরুদ্ধে যখন এমন অভিযোগ তখন তিনি দেশ ত্যাগের চেষ্টা করছেন। যদিও তিনি ব্যবসায়িক কাজ দেখিয়ে কুয়েতেই যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপলু ব্যবসায়িক কাজে কুয়েত যাবেন বলে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বিদেশ গমনের আবেদন করেন। সংসদ অধিবেশন শেষে স্পিকার সেই আবেদনে স্বাক্ষর করেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
স্পিকারের নিকট বিদেশ গমনের অনুমতি চেয়ে ওই আবেদনে লেখা হয়েছে-
অদ্য ১৬ই ফেব্রুয়ারি তারিখ হতে আমার ব্যবসায়িক কাজে জরুরি ভিত্তিতে আমাকে কুয়েতে যেতে হবে। জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলমান থাকায় বিষয়টি আপনাকে অবহিত করছি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশে ফিরে আসার ইচ্ছা পোষণ করছি। নিজের পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে সংসদের লোগো সম্বলিত প্যাডে আবেদন করেন তিনি।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে লেখা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতে মানব পাচারে যুক্ত বাংলাদেশের তিন পাচারকারীর একজন সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম। সেখানে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর আগেই তিনি দেশে চলে এসেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংসদ সদস্যসহ তিন জনের চক্রটি প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে পাঠিয়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রোববার সংসদে না এলেও তার পিএস সোহেল এর মাধ্যমে আবেদনটি স্পিকারের দফতরে পাঠানো হয়।
ওই সংসদ সদস্যের স্ত্রীও এবার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। তার স্ত্রীর নাম সেলিনা ইসলাম।