জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: গত ৯ বছরে (২০১০-২০১৯) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে ৯৭ হাজার ৫০৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তারমধ্যে ৩০ হাজার ৩০১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ৬৭ হাজার ২০৩ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সাবেক সচিব ও সরকারি দলের সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী এতথ্য জানান।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫৩ জন মহিলা কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ২৮তম, ২৯তম, ৩০তম ও ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তাগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা যা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
তিনি বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিশেষায়িত পদে এবং যে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল সংকট রয়েছে, সে সকল সংস্থায় উপযুক্ত সামরিক/অসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারি এবং জনসাধারণের মধ্য হতে বিশেষে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে দাফতরিক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।
এছাড়া প্রশাসনিক ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যে সকল দফতরে দ্রুত, যোগতাসম্পন্ন জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হয় না, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সে সকল সংস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিগণকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে জনবল সংকট নিরসন করা হয়ে থাকে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলে স্বাভাবিক দাফতরিক কার্যক্রম ব্যাহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।