জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অবকাঠামো স্থাপিত হয়েছে। গণতন্ত্রে একটা কাঠামো থাকে একটা সংস্কৃতি থাকে। এই কাঠামোটা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় নির্বাচন এই কয়টি এই সরকার বাস্তবায়িত করেছে। আমাদের প্রয়োজন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে উন্নত করা। এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টি জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একথা বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সমস্ত বিশ্ব একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপ, রাশিয়া, এমনকি ইউরোপিয়ান দেশগুলো একটার সঙ্গে আর একটা প্রতিযোগিতা চলছে, অনিশ্চয়তা চলছে। চীনের সঙ্গে রাশিয়ার যে ব্যবসায়ীক টানা-পোড়েন চলছে তার ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে একটা ইনফ্লেশন, রিসেশন চলছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার ও অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। আশঙ্ক হয়েছিল ইনফ্লেশন হবে রিসেশন হবে সরকার দুটোই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন বিশ্বব্যাংকসহ সকলে আমাদের সম্মানের সঙ্গে দেখে। এমন একটা সময় ছিল বিশ্বব্যাংকে গেলে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইতো না, কথা বলতে চাইতো না। গত বছর যখন বিশ্বব্যাংকে গেলাম তখন চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে দেখা করলেন। দরিদ্র দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি। যারা সংসদের বাইরে তারা বলে দেশে গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রে একটা স্ট্রাকচার থাকে, একটা কালচার থাকে। এই কাঠামোটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচন এই কয়টি এই সরকার বাস্তবায়িত করেছে। আমাদের গণতান্ত্রিক কালচারটা উন্নয়ন করতে হবে, সেটা সময় সাপেক্ষ। কিন্তু এই অবকাঠামো স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। যারা আমাদের সমালোচনা করবেন তাদেরকেও স্বীকার করতে হয়।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন হয়েছে, এই কথা কেউ অস্বীকার করে না। স্বীকার করে নিয়ে দুঃখের কথা, সমস্যার কথা বলেন। যারা অত্যাচার নির্যাতন বাক স্বাধীনতা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সমাবেশের কথা বলেন, আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, জেলে নিয়েছে জুলুম করেছে এক জেল থেকে আরেক জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। যেখানে লক আপের পর নিয়মে নাই কয়েদিকে বাইরে নিয়ে যাও সেখানে রাত ৮টার পর আমাদেরকে কাউন্টিং শেষে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় নিয়ে গেছে। এটা রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়, কিন্তু তারা এটা করে এসেছেন। আশাকরি রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, পৃথিবী এখন অর্থনীতির সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডা যুদ্ধ থেকে এখন যে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, কেউ জানেন না কোন দিকে যাচ্ছে। চীনের সঙ্গে ঝগড়া, রাশিয়ার সঙ্গে ঝগড়া এই রকম অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যেও আমরা নিরাপদ অবস্থানে আছি।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে তিনি সরকারকে, অর্থমন্ত্রীকে একটু সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। করোনাভাইরাস বাংলাদেশে আসে নাই, আশাকরি আসবে না।