জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ধর্ষকরা পশুর চেয়েও অধম উল্লেখ করে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ করে তারা মানুষ নামে পশু, এরা পশুর চেয়েও অধম। তাদেরও তো মা-বোন-মেয়ে আছে। এমন জঘন্য চরিত্রের মানুষ কীভাবে হতে পারে? জঙ্গিবাদ-মাদক-ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। দেশবাসীও যেন এদের ধরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেন তার জন্য দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান আপনারা এদের দেখলে ধরিয়ে দেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রমজান আসলেই অনেকে অনেক খেলার চেষ্টা করে। কেউ যেন গুজবে না পড়েন। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
তিনি বলেন, চীন থেকে যে সমস্ত কাঁচামাল আসছে সেগুলোর ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সর্তক। চীনে সৃষ্ট সমস্যার কারণে বিকল্প পথ খুঁজছি, তাই আতঙ্কের কিছু নেই।
মশার উপদ্রব নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্যের জবাবে বলেন, আবার বর্ষা আসছে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রত্যেকের নিজ নিজ ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, নিজের ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখতে পারলে মশা থাকবে না। পরিষ্কার না রাখতে পারলে মশা তো মুখে ঢুকবেই।
ব্যাংকে টাকা নেই বিরোধী দলীয় নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে ব্যাংকে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়নের উপরে, কাজেই চিন্তা নাই। ব্যাংকে টাকা রিজার্ভ রাখা হয় দুর্যোগকালীন সময়ে যেন অন্তত ৩ মাসের খাদ্য সংগ্রহ করা যায়। আমাদের যা আছে ৬ মাসের বেশি খাদ্য আনতে পারব। টাকার কোন অসুবিধা নাই, সেটা বলতে পারি। এখন পর্যন্ত ১৮ বিলিয়ন রেমিটেন্স এসেছে। টাকা যদি নাই থাকে এই কাজ কিভাবে করছি। অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে অনেকেই আসছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জায়গা। বাংলাদেশ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অনেক এগিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হবে এমন প্রশ্নের বিষয়ে বলেন, অবশ্যই এখন সিঙ্গাপুরের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে আছি এটা দাবি করতে পারি। আমাদের অনেক বড় দেশ, সিঙ্গাপুর ছোট একটি দেশ, বিরোধী দল নেই, শৃঙ্খলার মধ্যে চলে, রাজনৈতিক পরিবেশ ভাল। আমাদের দেশে সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস খুন-খারাপি হয় অনেক কিছুই মোকাবিলা করতে হয়।
সংসদ নেতা বলেন, এরশাদের আমলে ১৯৮৮ সালে আমার ওপর হামলা হয়েছিল, সেখানে ২০ জন মারা যায়। খালেদা জিয়ার আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা হয়।