নিজের অধীনে থাকা গাড়ির জন্য ধার্যকৃত ট্যাক্স কমাতে দুই সংসদ সদস্য প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তাদের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে অর্থবিল-২০২০ পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে গাড়ি রাখার ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করেন বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি।
হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অধিকাংশ গাড়ি বসে থাকবে। তাই গাড়ির ট্যাক্স কমানোর অনুরোধ করছি। অন্তত না কমাতে পারলেও যেন আগেরটাই বহাল থাকে। গাড়ি বসিয়ে রেখে অতিরিক্ত ট্যাক্স প্রদান করতে হবে। আমার মনে হয় ট্যাক্স প্রত্যাহার করা উচিত।
তিনি বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন আমার ব্যক্তিগত গাড়িটি রেখে দিতে হয়েছে। এখন সেই গাড়ি সার্ভিস করাতে অনেক টাকা লেগে গেছে। এভাবে গাড়ি বসিয়ে রেখে ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে। এটা পরিবেশের জন্য ভালো। তাই হাইব্রিড গাড়ি আমদানির করার ক্ষেত্রে আরও উৎসাহিত করা দরকার।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, যারা গাড়ির মালিক হবেন। গাড়ি রাখার জন্য সম্পূরক কর দিতে হয়, সেটা জিপের ক্ষেত্রে আগে ছিল ১৫ হাজার টাকা এখন প্রস্তাব করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ২ হাজার সিসির ক্ষেত্রে আগে ৩০ হাজার টাকা ছিল এখন করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা । যেটা আগে ছিল ৫০ হাজার টাকা সেটা ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, যেটা আগে ৭৫ হাজার টাকা ছিল, সেটা করা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা । আর যেটা আগে ছিল ১ লাখ টাকা সেটা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে আগে যেটা ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিল, সেটা করা হয়েছে ২ লাখ টাকা। মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে যেটা ছিল ২০ হাজার টাকা, সেটার প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, শুধু গাড়ি রাখার জন্য এতো ট্যাক্স, এটা তো অযৌক্তিক। এর ফলে অনেকে গাড়ি চালাবে না। অনেকে গাড়ি রেখে দিবে। তাতে অনেক ড্রাইভার চাকরি ছেড়ে দেবে। শুধু তাই না এর সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত সেখানে টায়ারের ব্যবসা আছে। গ্যারেজের ব্যবসা আছে। অধিক পরিমাণ ট্যাক্সের ফলে গাড়ি ফেলে রেখে দেবে। তাই ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করছি, তাতে মানুষ ট্যাক্স দিতে আগ্রহী হবে।