হ্যাকিং বন্ধ করার জন্য আরও একটা আইন করা হয়েছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই হ্যাকিং সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে সেটা হয় না, এটার জন্য স্পেসিফিক অপরাধ সৃষ্টি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। সেখানেও সরকার সংসদ সদস্য ও স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এই দেশের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার সহ্য করব না।
বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার বিল-২০২০’ পাসের প্রস্তাব উত্থাপনের আগে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের তোলা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য প্রশ্ন তোলায় আইনমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার বিচার হয় নাই, মামলা হয় নাই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আমাকে বলেন। ওনারা কতো বছর ক্ষমতায় ছিলেন, ১০টা বছর ছিলেন ওনারা। সেই ১০ বছরে মামলা হয় নাই বিচার হয় নাই। ওনারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা শেখান। এসব বন্ধ করুন।
সামরিক অধ্যাদেশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ সদস্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে বলেছেন ইনডেমনিটি অ্যাক্ট এই সংসদে পাস হয়েছে। ওনার সাথে আমি পারশিয়ালি একমত নট ফুললি। ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। তখন এক তরফাভাবে সব পাস হতো। এই ওনাদের স্বাধীনতা।
আইনমন্ত্রী বলেন, হ্যাকিংয়ের কথা বলেছেন। হ্যাকিং এর জন্য আরও একটা আইন করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই হ্যাকিং সাইবার ক্রাইম বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। এই অ্যাক্টের মাধ্যমে সেটা হয় না এটার জন্য স্পেসিফিক অপরাধ সৃষ্টি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে এবং সেখানেও সংসদসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়েও কথা। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এই দেশের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যবহার সহ্য করব না।