করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রত্যেক জেলায় একজন করে সচিবকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদার অনুযায়ী কাজ করা সমস্যা হচ্ছে বলে জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এরপর সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য এবং এর ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রগ্রেসে আছে। অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছেন, আমরা সহায়তা করছি। দু:খজনক বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রী সব সময় সংসদীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। এই সংসদের সংসদীয় রাজনীতিতে আনার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলেন ১৯৯১ সালে। এখন করোনা মোকাবিলা করার জন্য প্রত্যেক জেলায় যে কমিটি করা হয়েছে, সেই কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে একজন সচিবকে।
তিনি বলেন, সারাদেশের ৬৪ জেলায় কি এমপি ছিল না? যাকে আহ্বায়ক করলে আমরাও কমিটিতে থাকতে পারতাম অনেক কাজ করতে পারতাম। আমার মনে হয় আমলাতান্ত্রিক বিষয়টা এই সরকারের পক্ষে মানায় না। আমরা দেখেছি অনেক সচিবের চাকরি আছে এক মাস বা দুই মাস, তারা আবার নির্বাচন করতে চান। তারা তাদের ইচ্ছামত পছন্দমতো কার্যক্রম করতে চান। তাই আমি অনুরোধ করব সংসদ নেতাকে আমরা কোনো পদের জন্য না সংসদীয় গণতন্ত্র সেখানে জেলায় যদি একজন মন্ত্রী অথবা এমপি তিনি যদি সভাপতি থাকেন তাহলে তার সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। কিন্তু একজন সচিব যিনি আমার চেয়ে ক্রমঅনুযায়ী স্ট্যাটাসে আমার চেয়ে নিচে, তিনি ডাকলে আমার যেতে বা আমাদের অনেকে যেতে অসুবিধা বোধ করি। এসমস্ত অসঙ্গতি বিষয়টা দেখবেন। আমাদের কাজে লাগানোর জন্য না আপনার দলের এমপি আছে তাদের সভাপতি করেন তাতেও আমরা কাজ করব।