সরকার অন্য কোন দেশের চামড়া শিল্প বিকাশ সাধনের জন্য নিজ দেশের চামড়া শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রামে তার নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যে সরকার দিনের বেলা ভোট করতে ভয় পায়, রাতের বেলা ভোট করে সে সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করবে না সেটাই স্বাভাবিক। এবার আমরা দেখেছি কোরবানির চামড়া নিয়ে তেলেসমাতি। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি না হওয়ায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার গরীব অসহায় এতিমদের পিষে মারছে। সরকার ট্যানারি মালিকদের কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। ঋণ না দেওয়ায় ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করেনি। সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়ার শিল্পকে ধ্বংস করছে। এর উদ্দেশ্য হলো অন্য কাউকে, অন্য কোন দেশকে চামড়া শিল্প বিকাশ সাধনের জন্য দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ চামড়া বিক্রি করতে না পেরে নদীতে ফেলে দিচ্ছে, মাটির নিচে পুঁতে রাখছে। প্রতি বছর কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করে গরিব এতিমদের খরচ জোগানো হতো। এবার তা হয়নি। গরিব অসহায়দের বঞ্চিত করা হয়েছে । তাদের হক আদায় করা হয়নি। সরকারের গণবিরোধী নীতির কারণেই চামড়া শিল্প ধ্বংস হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়। তাদের ভুল নীতির কারণে একের পর এক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ কমে যাচ্ছে। করোনার কারণে নয় গত কয়েক বছর ধরে রেমিটেন্স কমেছে। সরকারের দেশ প্রেমিক যে সকল পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল তা গ্রহণ করা হয়নি। কিছু মেগা প্রজেক্ট নামে দুর্নীতির মহোৎসব করছে নিজেদের লোকদের নিয়ে। এতে মানুষ দিনদিন কর্মহীন হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কোটি কোটি শিক্ষিত বেকার লোক রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর কারণ এই সরকার গণবিরোধী নীতি।