রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের আহ্ববায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনিও আমাদের পার্টি করতে এসেছিলেন। কিন্তু উনি এখানে খুব একটা স্বস্তি ফিল করেন নি। কারণ সারাজীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখে অভ্যস্ত। যখন আমাদের পার্টি করতে আসল তখন আমি বললাম, আপনার হাত এত ভালো এত সুন্দর লেখেন তা আপনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এতদিন লিখেছেন, এখন একটু পক্ষে লেখেন। দেখা গেল যে উনি পক্ষে লিখতেই পারেন না।’
উপস্থিত সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে আবারো মৃদু হাসির রোল।
গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন ও যুক্তফ্রন্ট ঐক্যের নেতা বি. চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসম আব্দুর রবদের র্নিবাচনী জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি শুধু স্বাগত জানান নি, সেই সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট নেতাদের অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাধুবাদ জানাই তারা সব মিলে একটা জোট করছে। এটা ভালো। বাংলাদেশে তো পার্টি দুইটা। একটা আওয়ামী লীগ আরেকটা অ্যান্টি আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের তো একটা জায়গা লাগবে যাওয়ার। কাজেই এ জন্য তারা যে ঐক্য করেছেন আমি সাধুবাদ জানাই। যে ঐক্যটা থাক। ভালো হোক’।
ড. কামাল আদৌ নির্বাচন চান কি না সেই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল এবং গং যারা এক হয়েছে তারা আদৌ নির্বাচন চায় কি না এখানেই আমার প্রশ্ন। কারণ বাংলাদেশে তো একটা শ্রেণি বসেই থাকে তারা মনে করে, কোন অসাংবিধানিক অনির্বাচিত এরকম কিছু যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে তো একটা পতাকা পেতে পারে, তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে।’
আনকনটেস্টেড হওয়া সাংবিধানিকভাবেই আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. কামালও তো নির্বাচনে আনকনটেস্টেড জিতে আসছিলেন। জাতির পিতা একটা সিট ছেড়ে দিয়েছিলেন তার জন্য। সে জাতির পিতার ছেড়ে দেওয়া সিটে উনি ইলেকশন করলেন, পেপার সাবমিট করলেন, কেউ কনটেস্ট করেনি, নিজেই আনকনটেস্টেড জিতে এলেন। এখন সেই আনকনটেস্টেড এমপি, আজ নিজেকে সংবিধান প্রণেতাও বলেন, আবার এখন দেখি সেই সংবিধানও তিনি মানতে চাননা।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, কাদের সিদ্দিকী তিনিও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ৯৬ সালের পার্লামেন্টে হঠাৎ তার মাথায় কে কি ঢুকালো জানি না তিনি রিজাইন করল। স্বতন্ত্র ইলেকশন করে আসলেন যে, আওয়ামী লীগের এমপিরা তাকে ভোট দেবেন, বিএনপির এমপিরাও তাকে ভোট দেবে উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।